দেশে করোনাভাইরাসের (কোভিড ১৯) তৃতীয় ঢেউ যেন না আসে, সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেছেন, দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ যেন না আসে, সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। দেশে দুইজন খেলোয়াড়ের শরীরে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। তারা আইসোলেশনে রয়েছেন, তাদের মাধ্যমে অন্য কেউ সংক্রমিত হয়নি। এছাড়া এখন পর্যন্ত এতে কোথাও মৃত্যু হয়নি বলেও জানান মন্ত্রী।
রোববার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্থাপিত অক্সিজেন প্ল্যান্ট ও শিশু কর্নারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। এখনো যারা টিকা নেননি, সবাই টিকা নিয়ে নেবেন। আমাদের টিকার কোনো অভাব নেই। আমাদের হাতে এখনো চার কোটি ডোজ টিকা মজুত রয়েছে। আজ যে অক্সিজেন জেনারেটর উদ্বোধন করা হচ্ছে, তা যেন দীর্ঘদিন চলে তা খেয়াল রাখতে হবে বলেও জানান তিনি।
এসময় তিনি জানান, করোনাকালে দুটি অক্সিজেন প্ল্যান্ট উপহার দিয়েছে ভারত সরকার। তার মধ্যে একটি ঢামেক হাসপাতালে স্থাপন করা হয়েছে, যা প্রতি মিনিটে এক হাজার লিটার অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী শুধু বাংলাদেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ না, ভারতের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। দুই দেশের বন্ধুত্ব পুরোনো ও অটুট। তারই অংশ হিসেবে করোনা মহামারির নতুন প্রকোপ ঠেকাতে ভারত অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসাতে সহায়তা করছে।
ঢামেকের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক জানান, যদি দেশে করোনার তৃতীয় ধাপ আসে এই অক্সিজেন প্ল্যান্ট করোনা রোগীর চিকিৎসায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. টিটো মিঞা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এ বি এম খুরশিদ আলম, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, ঢামেক হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক আশরাফুল আলমসহ চিকিৎসকরা
অক্সিজেন প্ল্যান্টের উদ্বোধন শেষে ঢামেকের বহির্বিভাগে শিশুদের জন্য শিশু কর্নার পরে মেডিকেল কলেজে বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।