করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ২২ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে ১৬ পুরুষ ও ছয় নারী। সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল সাত হাজার ৫৩১ জনে।
আজ বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮০টি ল্যাবরেটরিতে ১৫ হাজার ৪০৮টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৫ হাজার ২২৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৩২ লাখ ১৪ হাজার ৩৪৪টি। এ সময়ে নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ২৩৫ জন। দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচ লাখ ১২ হাজার ৪৯৬ জনে।
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৫০৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৫৬ হাজার ৭০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হার ৮ দশমিক শূন্য ১১ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৭ শতাংশ।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২২ জনের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব চারজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ছয়জন এবং ষাটোর্ধ্ব ১১ জন রয়েছেন। বিভাগ হিসেবে মৃতদের মধ্যে ঢাকায় ১১ জন, চট্টগ্রামে পাঁচজন, রাজশাহীতে একজন, খুলনায় একজন, বরিশালে একজন, সিলেটে একজন এবং ময়মনসিংহে দু’জন রয়েছেন।
চলতি বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট মৃত্যু সাত হাজার ৫৩১ জনের মধ্যে পুরুষ পাঁচ হাজার ৭৩৩ জন (৭৬ দশমিক ১৩ শতাংশ) ও নারী এক হাজার ৭৯৮ জন (২৩ দশমিক শূন্য ৮৭ শতাংশ)।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]