নভেল করোনাভাইরাস অতি মাত্রায় সংক্রামক হওয়ায় এর বিস্তার ঠেকাতে জনসমাবেশ বা গণজমায়েত নিরুৎসাহিত করা হলেও স্থানীয় যুবলীগ ও আ”লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ স্থানীয় প্রভাবশালীদের উপস্থিতি ও নের্তৃত্বে উপজেলা মহেশখালীর মাতারবাড়িতে বিপুল মানুষের গণজমায়েত করে বিজয় দিবসে গরুর লড়াইয়ের আয়োজন করা হয়। মাতারবাড়ির মাঝেরডেইলে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে সকাল ১০ টা থেকে গরুর লড়াইয়ের আয়োজন শুরু হয়।
করোনার ২য় ধাপে হাজার হাজার মানুষের ভীড় জমেছে এবং গরুর লড়াইয়ে অংশগ্রহণ করতে গরু নিয়ে বিভিন্ন মালিক সহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও মহেশখালী থেকে হাজার হাজার মানুষ আসে। উক্ত গরুর লড়াইয়ের আয়োজক কমিটির দায়িত্বে ছিলেন সভাপতি মোঃ বেলাল হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম (মাতারবাড়ি ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি)সহ আ”লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন এর অনেক নেতৃবৃন্দ। স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই এই আয়োজন করা হয়েছে এতে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা আরও বেড়ে যেতে পারে এমনটাই মনে করছে সচেতনমহল।
করোনার ২য় ধাপে স্বাস্থ্য বিধি না মেনে গরুর লড়াইয়ের আয়োজনের বিষয়টি মহেশখালীর থানার ওসি আব্দুল হাই এর কাছে সংবাদ পৌছালে তিনি সাথে সাথে মাতারবাড়ির পুলিশ ফাড়িকে আয়োজন বন্ধ করতে স্পটে পাঠান। এছাড়া পুলিশ আসার আগে উক্ত আয়োজনের এক পর্যায়ে আয়োজকদের বিভিন্ন অনিয়মের কারণে দর্শকদের মধ্যে ঢিল ছুড়াছুড়ি, হাতাহাতি হয়। পরে পরে পুলিশ তা নিয়ন্ত্রণ আনে ও অনুষ্ঠানের শেষ মূহুর্তে পুলিশ গরুর লড়াই বন্ধ করতে নির্দেশ দিলে আয়োজন কমিটির লোকজন ইউএনও স্যারের অনুমতি আছে বলে তাদের জানান। যখন পুলিশ সদস্যরা আয়োজক কমিটির কাছে ইউএনও থেকে প্রাপ্ত অনুমতিপত্র দেখাতে বললে তারা তা দেখাতে সক্ষম হয়নি। আয়োজক কমিটির বেলাল উদ্দিন, আবুল হাসেম ও আবুল কাসেম থেকে স্বাস্থ্য বিধি না
গণ জমায়েতকরে গরুর লড়াইয়ের আয়োজনের ক্ষেত্রে প্রশাসনের কোন অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে বলেন, মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এই আয়োজনের অনুমতি দিয়েছে বলে জানান।
এই বিষয়ে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল হাই জানান, মাতারবাড়ির আ”লীগের সভাপতি সমি উদ্দিন আমাকে ইউএনও এর অনুমতি আছে বলে জানান, পরে কোন প্রমাণপত্র দেখাতে না পেরে আমি তা বন্ধ করে দেয়।
অনুমতির ব্যাপারে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর সাথে ফোনালাপে তিনি তা অস্বীকার করেন ও আয়োজক কমিটির মিথ্যে প্রচারণা বলে নিশ্চিত করেন।