সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, আগে জীবন। যদি কোভিডের সংক্রমণ পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে, মেলা চালানোর মতো আর সুযোগ না থাকে, সেক্ষেত্রে আমাদের নতুন করে সিদ্ধান্ত নিতেই হবে।
আজ মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, মহামারিকে আমন্ত্রণ জানানো যাবে না। সে ক্ষেত্রে নতুন করে সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে। তখন অপ্রিয় হলেও কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে। তবে প্রার্থনা করছি, সংক্রমণ পরিস্থিতি যেন সে পর্যায়ে না যায়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারের বইমেলা ১৮ মার্চ থেকে শুরু হয়ে চলবে আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। ১৮ মার্চ বিকেলে প্রধানমন্ত্রী মেলার উদ্বোধন করবেন ভার্চুয়ালি এবং শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা আমার দেখা নয়াচীন-এর ইংরেজি অনুবাদ গ্রন্থ উন্মোচন করবেন।
এবারের মেলায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মোট ৫৪০টি প্রতিষ্ঠানকে জায়গা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০৭টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫৪টি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৪৩৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৮০টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এবারো শিশুচত্বর মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই থাকবে তবে করোনার জন্য ‘শিশুপ্রহর’ থাকবে না। এ ছাড়া প্রতিদিন বিকেল চারটায় মেলার মুল মঞ্চে সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া মাসব্যাপী প্রতিদিন সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
প্রসঙ্গত, সাধারণ প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে অমর একুশে বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়। তবে এবার করোনার কারণে মেলা পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। যদিও করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ২০২১ সালের একুশে বই মেলা উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে আয়োজন না করে অনলাইনে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ। তবে পরে তা আর হয়নি মূলত প্রকাশকদের বিরোধিতার কারণে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]