1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : বরিশাল ব্যুরো প্রধান : বরিশাল ব্যুরো প্রধান
  3. [email protected] : cmlbru :
  4. [email protected] : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান
  5. [email protected] : ঢাকা ব্যুরো প্রধান : ঢাকা ব্যুরো প্রধান
  6. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টারঃ : স্টাফ রিপোর্টারঃ
  7. [email protected] : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান
  8. [email protected] : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান
  9. [email protected] : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান
  10. [email protected] : আমজাদ হোসেন রাজশাহী ব্যুরো প্রধান : রাজশাহী ব্যুরো প্রধান
  11. [email protected] : রংপুর ব্যুরো প্রধান : রংপুর ব্যুরো প্রধান
  12. [email protected] : রুবেল আহমেদ : রুবেল আহমেদ
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৮ অপরাহ্ন

কলাগাছের আঁশ থেকে সুতা তৈরী হচ্ছে

গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি,দৈনিক শিরোমণিঃ
  • আপডেট : শুক্রবার, ৭ মে, ২০২১

গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি,দৈনিক শিরোমণিঃ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে কলাগাছের আঁশ থেকে সুতা করে শপিং ব্যাগসহ নানা উন্নতমানের ব্যবহার্য সামগ্রী তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন মোজাম উদ্দিন। তিনি একই গ্রামের কৃষক বায়েছ উদ্দিনের ছেলে। পরিত্যক্ত কলাগাছের আঁশ থেকে তৈরি সুতায় হবে উন্নতমানের কাপড়, শপিং ব্যাগসহ নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক জিনিস। তার এ প্রচেষ্টা বাস্তবায়িত হলে এলাকার অসংখ্য বেকারের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। দেশ অর্জন করতে পারবে বিদেশি মুদ্রা। সেই সঙ্গে কলাগাছের বর্জ্য থেকে তৈরি জৈব সার দেশে সারের ঘাটতি পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এলাকার কলা চাষিরা জমি থেকে কলা কেটে নেয়ার পর কলাগাছগুলো যত্রতত্র ফেলে রাখে। ফেলে রাখা কলা গাছ কয়েকদিন পরই পঁচে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশ দূষিত করে। এ অবস্থা দেখে মোজাম উদ্দিনের চিন্তায় আসে কলাগাছ থেকে পাটের মত আঁশ উৎপাদন করা সম্ভব। কারণ এ আঁশ যথেষ্ট মজবুত। মোজাম উদ্দিন নিজেই দীর্ঘ চেষ্টার পর তৈরি করে আঁশ উৎপাদনের একটি মেশিন। যা দিয়ে তিনি এরই মধ্যে আঁশ উৎপাদন শুরু করেছে। তাকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করছে তার স্ত্রী। কিন্তু মেশিন ২৪ ঘণ্টা চালাতে কমপক্ষে ১০ জন শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। এতে অনেক টাকার প্রয়োজন। তবে তিনি নিজেই কলাগাছ সংগ্রহ, পরিবহন, কলাগাছের বাকল তোলা, তা মেশিনে দিয়ে আঁশ বের করা, পানিতে ধোয়া এবং রোদে শুকানোর কাজ করেন। ফলে আশানুরূপ সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হচ্ছে না তিনি। সরকারিভাবে তাকে প্রয়োজনীয় ঋণ দেয়া হলে কলাগাছের উচ্ছিষ্টকে শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব বলে আশাবাদী তিনি। মোজাম উদ্দিন বলেন, চীনে এই আঁশের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। এছাড়া ঢাকার একটি কো¤পানি এ আঁশ ক্রয়ের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। প্রতিকেজি আঁশের মূল্য ২৩০ টাকা মূল্যে আঁশ বিক্রি করা যেতে পারে। এ ব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খালেদুর রহমান বলেন, কলাগাছের বাকল থেকে আঁশ উৎপাদন কার্যক্রম পরিদর্শন করেছি এবং উৎপাদিত আঁশের নমুনা সংগ্রহ করে এর গুণগত মান যাচাইয়ের জন্য ঢাকায় প্রেরণ করেছি। যদি গুণগত মান বিবেচনায় আঁশের চাহিদা পাওয়া যায় তাহলে উদ্যোক্তা মোজাম উদ্দিনকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়া হবে। গাইবান্ধা বিসিকের সহকারি ব্যবস্থাপক রবীন রায় বলেন, বিষয়টি ভাল ও ব্যতিক্রর্মী উদ্যোগ। পঁচনশীল ফেলে দেয়া কলাগাছ থেকে ফাইবার উৎপাদন করার বিষয়টি একটি উল্লেখযোগ্য আবিস্কার।

Facebook Comments
৫ views

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২২ দৈনিক শিরোমনি