সিলেট কানাইঘাট প্রতিনিধি,দৈনিক শিরোমণিঃ সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দিঘীরপার পূর্ব ইউপির সর্দারেরমাটি (মৌনগর) গ্রামের এক যুবককে ষড়যন্ত্র মূলক ভাবে মিথ্যা ধর্ষন মামলার আসামী করে গ্রেফতার করায় এলাকার মানুষের মাঝে বিরোপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সরেজমিনে জানা যায় সর্দারেরমাটি মৌনগর গ্রামের আব্দুর রহিম কালামের স্ত্রী সীতারা বেগম (২৮) কে গত ২০/০৫/২০২১ইং তারিখে ধর্ষন করা হয়েছে মর্মে কানাইঘাট থানায় ভিকটিম বাদী হয়ে একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন। উক্ত ধর্ষন মামলায় একই গ্রামের মৃত আব্দুল্লার পুত্র হাবিব আহমদ সহ অজ্ঞাত নামা আরো ২জনকে আসামী করা হয়। এর প্রেক্ষিতে কানাইঘাট থানা পুলিশ মামলা দায়েরের পরপর হাবিব আহমদ কে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করেন। বর্তমানে হাবিব আহমদ জেল হাজতে রয়েছে। উক্ত মামলা ও হাবিব আহমদ গ্রেফতারের ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে এক চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। সরেজমিনে গেলে একই গ্রামের ফারুক আহমদ, সালিক আহমদ, মোঃ আলিম উদ্দিন, মোঃ মাসুক, আব্দুর রব, আকবর আলী, লোকমান হোসেন, গিয়াস উদ্দিন, আব্দুল করিম, সিদ্দিক আলী সহ প্রায় শতাধিক লোক জন জড়ো হয়ে জানান ধর্ষন মামলায় হাবিব আহমদকে ষড়যন্ত্র মূলক ভাবে ফাসানো হয়েছে। সে এলাকায় কোনদিনও অপরাধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিল না। মামলার বাদী সরল প্রকৃতির লোক সে ঘটনার পরে একেক সময় একেক জনের নাম উল্লেখ করেছে। সেদিন হয়তো ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু হাবিব আহমদ এমন নেক্কার জনক ঘটনার সাথে জড়িত ছিল না। বাদীকে দিয়ে স্বার্থ হাসিলের জন্য কেউ হাবিব আহমদের নাম উল্লেখ করিয়েছে। হাবিব আহমদ পেশায় একজন হাল চাষের ট্রাক্টর চালক সে এলাকায় ছোট থেকে কোন ধরনের অপরাধ মূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিল না। তারা মামলাটি অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন সহ প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান। মামলার ৩নং সাক্ষী করিম উদ্দিন ৪নং সাক্ষী এবাদুর রহমান ৫নং সাক্ষী ইব্রাহিম আহমদ তারা সকলেই জানান এ ধর্ষন মামলার বিষয়ে কিছুই জানেনা। তবে হাবিব আহমদকে এ মামলায় গ্রেফতার কার হয়েছে শুনেছি। হবিব আহমদের স্বভাব চরিত্র ভালো সে ধর্ষনের মতো নেক্কার জনক ঘটনায় জড়িত হতে পারে না। এ ছাড়াও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও মামলার ২নং সাক্ষী জসিম উদ্দিন জানান ধর্ষন মামলার বাদী সীতারা বেগম তাহার ঘর ডাকাতি হয়েছে মর্মে তাকে অবগত করেন। এবং সীতারা বেগমকে কে বা কাহারা ঘরে ঢুকে মারপিটও করেছে তাদেরকে তিনি চিনতে পারেননি বলে সীতারা বেগম জানান। পরে সীতারা বেগমের পিতা বিলাল আহমদ ইউপি সদস্যর সাথে যোগাযোগ করলে ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন সীতারা বেগমের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য তার পিতাকে বলেন। পরে বিষয়টি কিভাবে ধর্ষন মামলায় পরিনত হল সেটা তিনি জানেন না। তবে মামলার অধিকতর তদন্তের দাবি জানিয়ে হাবিব আহমদ এ ঘটনার সাথে জড়িত নয় বলে জানিয়েছেন ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন। এ দিকে সীতারা বেগমের অসুস্থ্য স্বামী আব্দুর রহিম কালা মিয়া জানান আমি একই ঘরে ঘুমে ছিলাম। আমি এ বিষয়ে কিচ্ছু জানিনা তবে পরে আমার স্ত্রীর চিৎকার শুনে তাকে জিগাইলে কি হয়েছে তখন সে বলে ঘরে ডাকাত ঢুকেছে। পরে তার বাবা ভাইকে নিয়ে একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেছে তাও আমি জানিনা। কিন্তু হাবিব আহমদ ছেলেটা নির্দোষ এ ঘটনার সাথে জড়িত নয়। অপর দিকে মামলার বাদী ও বাদীর পিতা বিলাল উদ্দিন এ ঘটনার বিবরন দিয়ে বলেন আমরা দুষিদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। যাতে ভবিষতে এলাকায় এ ধরনের নেক্কার জনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটানোর দুঃসাহস কেউ যেন না পায়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই পার্থ সারথী দাস জানান, মামলাটি নিবিড় ভাবে তদন্ত করা হচ্ছে জাদের সম্পৃকততা পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানু ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]