গাজীপুর প্রতিনিধি:রাকিব হাসান আকন্দ দৈনিক শিরোমণিঃ গাজীপুরের কাপাসিয়ায় শশুর বাড়ীতে স্বামী ঈমনের (১৯) বিরুদ্ধে স্ত্রী মারুফা আক্তারকে (১৪) গলা টিপে শ্বাসরোধ করে করে হত্যার অভিযোগ করেছে নিহতের বাবা। শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) দিবাগত মধ্য রাতের কোনো এক সময় উপজেলার সিংহশ্রী ইউনিয়নের বড়বেড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।নিহত মারুফা আক্তার কাপাসিয়ার সিংহশ্রী ইউনিয়নের বড়বেড় গ্রামের মাসুদ মিয়ার মেয়ে এবং ঈমন পাশের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরকুল গ্রামের এমদাদুল হকের ছেলে। পুলিশ অভিযুক্ত এমদাদকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে। নিহতের বাবার বরাত দিয়ে কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাছিম জানান, শ্রীপুরের বরকুল গ্রামের নানার বাড়িতে থেকে মারুফা স্থানীয় বরমী বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণিতে লেখাপড়া করতো।একই গ্রামের ঈমন তাকে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে প্রায়ই পেমেরে প্রস্তাব দিতো। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমেরে সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে প্রায় রছর খানেক আগে তারা একে অপরকে বিয়ে করে। ঈমন কোনো কাজকর্ম না করায় তাদের দাম্পত্য জীবনে প্রায়ই বিবাদ লেগে থাকতো। সম্প্রতি ঈমন মাওনা এলাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকুরী নেয়। গত কয়েকদিন যাবত মারুফা তার বাবার বাড়ীতেই ছিল। শুক্রবার দুপুরে ঈমন তার শ^শুর বাড়ী বেড়াতে যায়। রাতের খাবার খেয়ে তারা স্বামী-স্ত্রী ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে মেয়ের বাবা ঘুম থেকে উঠে ঘরে তার মেয়ের লাশ দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।নিহতের বাবা মাসুদ মিয়া জানান, শনিবার (৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় ঈমন তাকে ফোন করে জানায় সে আমার মেয়েকে গলা টিপে হত্যা করেছেন। পরে সে নিজেও ঘরের আঁড়ার সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়ে সে পালিয়ে যায়। কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাছিম আরো জানান,এব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্ত ঈমনকে গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
১৯ views