কালিয়া ( নড়াইল) প্রতিনিধি: নড়াইলের কালিয়ার নবগঙ্গা নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু কাটা বন্ধ করে দিয়েছে সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক আনু মোহাম্মদ। এ সময় তিনি এলাকাবাসিকে সাথে নিয়ে এ অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেন। মঙ্গলবার (২ ফব্রুয়ারি) দুপুরে দেওয়াডাঙ্গা-কুলসুর ঘাট এলাকায় কয়েক’শ এলাবাসীকে নিয়ে লাঠীসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঘাটে বিক্ষোভ করেন। এসময় সেচ্চাসেবকলী নেতা আনু মোহাম্মদ একটি ট্রলারে করে বিক্ষুদ্ধ জনতাকে নিয়ে নদী থেকে ৩০টি ড্রেজার উঠিয়ে নিতে বাধ্য করে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রায় এক বছর ধরে কালিয়া এলাকার প্রভাবশালী যুবলীগ নেতা রবিউল ইসলাম খানের নেতৃত্বে কোন ইজারা ছাড়াই দৈনিক অন্তত ৫০টি ড্রেজার বসিয়ে ১৫০ ট্রলার বালু উত্তোলণ করে।
দেওয়াডাঙ্গা ও নোয়াগ্রামের আসলাম, জহির মোল্যা, ইলিয়াজ মোল্যা জানান, এই নদীর কিনারা থেকে এভাবে বালু উত্তোলণের ফলে আমাদের একটি বাজার, ৩টি মসজিদ, ১টি মন্দির সহ কয়েক একর ফসলি জমি নদীতে ভেঙ্গে গেছে।দেওয়াডাঙ্গা গ্রামের লিটন সর্দার বলেন, এলাকাবাসীর পক্ষে কয়েক দফা লিখিত অভিযাগ করার পরও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থাই নেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা আনু মোহাম্মদ ভাইয়ের নেতৃত্বে আমরা এলাকাবাসী অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছি।
কালিয়া উপজেলা স্বেছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আনুর মোহাম্মাদ আনু বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল বালু উত্তোলণ করে কোটি টাকা আয় করছে। এতে সাধারণ জনগনের পাশাপাশি নদীর ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। প্রশাসনের দৃষ্টি এদিকে লাগেনি। তাই জীবন বাঁচাতে সাধারণ জনগনকে সাথে নিয়ে আমি নদী থেকে ড্রেজার সরাতে বাধ্য হয়েছি।
সরেজমিনে দেখা যায়, নবগঙ্গা নদীর দেওয়াডাঙ্গা ঘাট এলাকায় দুই পারে প্রায় ৩০টির অধিক ড্রেজার বালু উত্তোলনরত প্রায় ১০০টি বালুবাহী জাহাজ বালু বহন করছে। নদীর পাড় ধসে রাস্তাসহ ফসলি জমি নদীর মধ্যে বিলীন হয়ে গেছে। ঠিকাদার রবিউল ইসলাম খান এর লোকরা ঘাঠে অফিস বসিয়ে বালুর ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছেন।সাংবাদিকের উপস্থিতির পর বিভিন্ন জায়গায় ফোন করে ছবি তুলতে নিষেধ করেন।
ঠিকাদারের প্রতিনিধি কালাম অবৈধ ইজারার প্রসঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।তবে আরেক প্রতিনিধি আশরাফুল ইসলাম বলেন,এখানে দীর্ঘদিন ধরে আমরা বালু উত্তোলণ করছি। এটা ডিসি, এসপি, এমপি সবাই জানেন। ইজারা আছে কিনা আমার জানা নেই।
অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ব্যাপারে কালিয়া উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক রবিউল ইসলাম খান বলেন,আমি চর ডেকেছি আমি লায়ষ্ট হয়ে চর কিনেছি ,বৈধ কি অবৈধ সেটা প্রশাসনের লোক ভালা বুঝতে পারবে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]