ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে তিনটি আলাদা বন্দুকযুদ্ধে দুই ভারতীয় সেনাসহ ৮ জন নিহত হয়েছে। ভারতের দাবি, নিহত অন্য ছয় জন সন্ত্রাসী। গতকাল বৃহস্পতিবারে সবচেয়ে বড় সংঘাতটি হয় লাইন অব কন্ট্রোলের কাছে। সেখানে বন্দুকযুদ্ধে দুই সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী ও দুই ভারতীয় সেনা নিহত হয়। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়, সেনাবাহিনীর একটি দল নিয়ন্ত্রণ রেখায় টহল দিচ্ছিল। এসময় সন্ত্রাসীরা হঠাৎ করে তাদের ওপর হামলা চালায়। শুরু করে গুলি, নিক্ষেপ করে হাত বেমা। পরে সেনাবাহিনীর আত্মরক্ষামূলক গুলিতে নিহত হয় সন্দেহভাজন দুই সন্ত্রাসী। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় ২টি একে ৪৭ বন্দুক। খবর আল জাজিরা।
এছাড়া দক্ষিণ কাশ্মীরে পুলওয়ামা ও কুলগামে আরও দুটি অভিযানে ৪ জন সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী নিহত হয়। ভারতীয় পুলিশ বলছে, কুলগামে যে দুজন নিহত হয় তারা জাতীয় মহাসড়কে বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা করছিল। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হলে শুরু হয় সংঘর্ষ। নিহত ৪ সন্ত্রাসীর নাম শাহবাজ আহমেদ শাহ, নাসির আইয়ুব পণ্ডিত, কিফায়াত সোফি ও ইনায়েত আহমেদ। এদের মধ্যে শাহবাজ জইশ ই-মোহাম্মদের সদস্য আর বাকিরা লস্কর ই-তৈয়বার সদস্য।
এর আগে গত ২ জুলাই ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার রাজপোড়া অঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাকামী যোদ্ধাদের সঙ্গে ভারতীয় সেনাবাহিনী, পুলিশ ও প্যারামিলিটারি বাহিনীর সংঘর্ষে ছয়জন নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন বিচ্ছিন্নতাকামী এবং একজন ভারতীয় সেনা।
ভারতের দাবি, নিহত হওয়া বিচ্ছিন্নতাকামী পাঁচজন পাকিস্তান-ভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়্যবার সদস্য। এর আগে গত ১ জুলাই রাতে রাজপোড়া এলাকায় যৌথ অভিযান শুরু করে ভারতীয় বাহিনী। এ অভিযানে নিহত হয় ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক সদস্য ও পাঁচ সশস্ত্র যোদ্ধা।
এদিকে পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরেও সম্প্রতি নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। ৩০ জুন উপত্যকার কুলগ্রাম বনাঞ্চলে সেনাদের হামলায় সন্দেহভাজন তিন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। ১ জুলাই দেশটির সেনাবাহিনী বলেছে, চলতি বছর এ পর্যন্ত ৬১ জঙ্গি নিহত হয়।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]