নিহতের বাবা মো. কাপি মানববন্ধনে বলেন, আমার একমাত্র সন্তানকে চুরি মেরে হত্যা করা হয়েছে। যারা তাকে হত্যা করেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। কিন্তু আজও প্রধান আসামি ধরাছোঁয়ার বাহিরে থেকে গেছে। আমি আমার সন্তান হত্যার বিচার চাই। আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
নিহত জসিমের মা রাহেনা বেগম বলেন, আমার ছেলে রিকসার গ্যারেজে কাজ করত। কারও সঙ্গে তার কোন দিন ঝগড়া অথবা বিরোধ ছিল না। ৯ তারিখ রাতে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের সিগারেট খাওয়ায় বাধা দেওয়ায় আমার ছেলেকে খুন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ফেনী শহরের পুরাতন কারাগার এলাকায় রাত ২টার দিকে ব্রাজিল দলের খেলা চলাকালে কিশোর গ্যাংয়ের কয়েক জন সক্রীয় সদস্য সবার সামনে সিগারেট খাওয়ার সময় তাদেরকে বারণ করে ফেনী শহরের বিরিঞ্চি এলাকার বাসিন্দা জসিম। বিষয়টি নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রিময় নামের কিশোর গ্যাংয়ের এক সদস্য জসিমকে ছুরিকাহত করে। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধিন থাকা অবস্থায় ১২ ডিসেম্বর জসিম মারা যায়।
পরে এ ঘটনায় জসিমের বাবা মো. কাপি বাদী হয়ে ফেনী মড়েল থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করে। পুলিশ বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাং এফএমডিবি গ্রুপ ও এইচপিসি গ্রুপের সদস্য ইমন ও সম্রাট কে গ্রেফতার করে। তবে প্রধান আসামি রিময় এখনো গ্রেফতার না হওয়ায় নিহতের স্বজনদের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।