রেজিঃ নং ডিএ ৬০০৯ | বর্ষ ১৪ | ৪ পৃষ্ঠা ৩ টাকা || শনিবার | ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ব্রীজের দাবিতে মানববন্ধন
ইউনুছ (কুড়িগ্রাম) জেলা প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় একটি ব্রীজের অভাবে দূর্ভোগে পড়েছেন ৮ গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। গত কয়েক বছর আগে ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে সবুজপাড়া গ্রামের পূর্বপাশে আলমের বাড়ি সংলগ্ন রাস্তাটি ভেঙ্গে যায়। পরে আলম নামের একজন ব্যক্তি তার নিজস্ব তহবিল দিয়ে বাশের সাকো নির্মাণ করেন এবং পারাপারের জন্য পথচারিদের কাছ থেকে টোল আদায় করে আসছেন। এলাকাবাসি দীর্ঘদিন থেকে ওই ভাঙ্গায় একটি ব্রীজের দাবী করে আসলেও কার্যকরি ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় প্রায় ৪’শ ফুট রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ায় রৌমারী উপজেলার খাঁটিয়ামারী, রতনপুর, চর বামনেরচর, মোল্লারচর, বেহুলারচর, সুতিরপাড়, বোল্লাপাড়া, মাঝিপাড়া (সবুজপাড়া) গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষের উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ রক্ষার একমাত্র রাস্তা এটি। ফলে বাশের সাকো দিয়ে পারাপারে ৮ গ্রামের মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এছাড়াও বাঁশের সাঁকোটি দিয়ে কৃষক কৃষি পূর্ণ বাজারজাত করণ, ধান, শাকসবজি, তরিতরকারি বাজারে আনা নেওয়ার সমস্যা হচ্ছে। স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ প্রায় ২৫ হাজার মানুষ জীবনের ঝুকি নিয়ে যাতায়াত করে থাকেন। এর আগে ওই ভাঙ্গন স্থানে সড়ক, বক্রকালভার্ট, স্লুইজগেট ও বাশেঁর সাঁকো নির্মাণ করা হয়। সঠিক পরিকল্পনার অভাবে কোনটিই স্থায়ীত্ব হয়নি।২০০৫ সালে সড়কের মাঝিপাড়া (সবুজপাড়া) গ্রামের পূর্ব পাশে আলমের বাড়িসংলগ্ন খালের ওপর এলজিইডির অর্থায়নে একটি স্লইজগেট ও খালের বাকি অংশ মাটি ভরাট করে সড়ক মেরামত করা হয়। পরের বছরই বন্যায় স্লইজগেটটি অক্ষত থাকলেও সড়কের মাটি ভরাট অংশটুকু ভেঙ্গে যায়। এর কয়েক বছর পর ওই জায়গায় দুইবার মাটি ভরাট করে পুণ:মেরামত করা হলেও ২০১৪ সালের ভয়াবহ বন্যায় সড়কের ওই অংশটুকু আবারও ভেঙ্গে যায়। যোগাযোগ বিছিন্ন হয় ৮ গ্রামের মানুষের চলাচল। একটি বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করা হলেও সড়কটি পুণ:সংস্কার বা সেতু নির্মাণে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। রবিবার সকাল ১০ টায় একটি ব্রীজের দাবীতে উপজেলা শাপলা মোড়ে একটি মানববন্ধন করেন এলাকাবাসি। এসময় বক্তব্য রাখেন, ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শালু, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ সভাপতি হারুনর রশিদ হারুন, এ্যাড. মাসুম ইকবাল, ফয়জার রহমান, আব্দুর রাজ্জাক, আসাদুজ্জামান আসাদ ও এসএমএ মোমেন। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি স্বারকলিপি প্রদান করা হয়। উপজেলা প্রকৌশলী জোবায়ের আহমেদ বলেন, ভাঙ্গা স্থানে স্লুইজগেটের জন্য প্লানিং স্টিমেট করে পাঠানো হয়েছে।এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান জানান, বন্যায় ভেঙ্গে যাওয়া বাঁশের সাঁকোর স্থানে বড় স্লইজগেট দেওয়া হবে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]
Copyright © 2024 দৈনিক শিরোমনি | shiromoni.com. All rights reserved.