মেহেদী হাসান রিয়াদ,কুমিল্লা,প্রতিনিধি,দৈনিক শিরোমণিঃকুমিল্লায় মনির ফরাজী নামে এক যুবলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা করতে এসে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ফেলে পালালেন সায়েম নামে এক সন্ত্রাসী। মঙ্গলবার রাতে জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার পিপুলিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটেছে। এনিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃস্টি হয়েছে। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই পিস্তল উদ্ধার করে। এ ঘটনায় বুধবার সকালে যুবলীগ নেতা মনির ফরাজী বাদী হয়ে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় হত্যা চেষ্টার মামলা দায়ের করেছেন।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার চৌয়ারা এলাকার টুঙ্গীরপাড় গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে সন্ত্রাসী সায়েম। সে চট্রগ্রাম নগরীর একজন তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী। সম্প্রতি চৌয়ারা ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মনির ফরাজীর সাথে সন্ত্রাসী সায়েমের বিরোধ সৃস্টি হয়। মঙ্গলবার রাতে মনির পিপুলিয়া বাজারে আসলে আকস্মিকভাবে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পিস্তল তাক করে সন্ত্রাসী সায়েম। এ সময় মনির চিৎকার করলে বাজারে সমাবেত লোকজন সন্ত্রাসী সায়েমকে ঘিরে ফেলে এবং ধাওয়া করে। এতে সে হাতের পিস্তল ফেলে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে সদর দক্ষিণ মডেল থানার এসআই খাদেমুল বাহার সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থল থেকে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে ব্যবহৃত অবৈধ পিস্তলটি উদ্ধার করে।স্থানীয়রা জানায়, সম্প্রতি সায়েম টঙ্গীরপাড় নিজ বাড়ীতে অবস্থান করে এলাকায় প্রভাব বিস্তার শুরু করে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রায়ই অস্ত্র প্রদর্শন করে সাধারণ মানুষের মাঝে আতংক ছড়ায়। ইতিপুর্বে সায়েম চৌয়ারা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক শামছুল হকের উপরও হামলা চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে।এ বিষয়ে সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি দেবাশী চৌধুরী জানান, সন্ত্রাসী সায়েমের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, তাকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।