গত ২২ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে একটি সংবাদমাধ্যমে ভেড়ামারা গোডাউন মোড়ে অবস্থিত রেহানা নিলয় নামক ভবনের বিষয়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয় এই বাড়িটি অনুমোদনহীন ও জরাজীর্ণ বলে। ভবন মালিকের পক্ষ থেকে ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হয় এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
এই সংবাদগুলোর ভিত্তিতে অনুসন্ধান করে জানা যায় এই ভবনে সুদীর্ঘ সময় ধরে ভাড়া থাকা একটি ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের মালিকের বিভিন্ন অনৈতিক, অসামাজিক ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ভবনটির মালিক পক্ষের কাছে প্রতীয়মান হওয়ায় আনুমানিক বছর দুয়েক আগে সেই ভাড়াটিয়াকে পৌরসভার মেয়র কতৃক নোটিশ দিয়ে উচ্ছেদ করা হয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বাজার কমিটি ও উল্লিখিত বাড়ির আশপাশের প্রতিবেশিদের সাথে কথা বলে জানা যায় এই ভবনটির মালিকপক্ষের সকলেই চাকরি সূত্রে অন্যত্র বসবাস করার সুবাদে ২০০৫ সাল থেকে এই ভবনে ব্যবসার পাশাপাশি বিভিন্ন বেআইনি ও অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়েছে সেই ভাড়াটিয়া। এই ভবনে তার প্রতিষ্ঠান চালু করার আগে পার্শ্ববর্তী প্রফেসর পাড়ার এক বাড়িতে এই ব্যক্তি ভাড়া থাকতো। সেখানেও অনৈতিক কার্যকলাপের কারনে তাকে বিতাড়িত হতে হয় এবং ঘর ছাড়ার আগে সেই বাড়ির বিধবা ষাটোর্ধ্ব মালকিনকে মারপিট করে অবশেষে ঘর খালি করেছিল তারা। সর্বশেষ এই বাড়ি ছাড়ার সময়ও বিভিন্ন জটিলতা তৈরি করে এবং অবশেষে বাধ্য হয়ে বাড়ি ছাড়তে হলে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেয় মালিক পক্ষকে ভবিষ্যতে দেখে নিবে ইত্যাদি বলে।
সরেজমিনে দেখা যায় ঐ ভাড়াটিয়ার ব্যবহৃত ফ্লোর সমূহে বিদ্যুতের তার দেয়ালের ভিতর থেকে ছিঁড়ে নেয়া সহ বিভিন্ন ক্ষতি সাধন করা হয়েছে ঘর ছাড়ার আগে। পুনরায় ঘরগুলো ব্যবহারের উপযোগী করতে অনেক মেরামতের কাজ করা হলেও ভবনটিতে ইচ্ছাকৃতভাবে করা ক্ষয়ক্ষতির কিছু নিদর্শন এখনও বিদ্যমান।
এই বাড়ি ছাড়ার পর থেকে বাড়িটি জরাজীর্ণ, ভেঙ্গে যাবে, এহেন গুজব ছড়াতে শুরু করে এমনকি এই বাড়ির পিছনের টিনশেড ঘরে বসবাস করা বাদাম বিক্রেতাদের পর্যন্ত এসব কথা বলে, কোনো নতুন ভাড়াটিয়া আসার সম্ভাবনা দেখা দিলে নিজ গরজে এধরনের কথা তাদেরকে বলার উদাহরণও পাওয়া গেছে। উদ্দেশ্যমূলক ভাবে অন্য পক্ষের সাথে দুয়েকটি ভাড়ার চুক্তি বাতিল করানোতেও সরাসরি তার হাত আছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়।
এই বাড়ির কন্সট্রাকশনের কাজের সাথে জড়িত দুয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে বাড়িটি জরাজীর্ণ বা দুর্বল হওয়ার কথা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং অবাস্তব।
এ ব্যপারে বাড়ির মালিকের ছেলে মোঃ রেজোয়ান হায়দারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন - “সংবাদমাধ্যম হলো সমাজের আয়না এবং সাংবাদিকগন নাগরিকদের জন্য চোখ ও কানের মতো। তাদের অবশ্যই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেয়া উচিৎ। সমাজে চিহ্নিত কোনো কালপ্রিটের কথায় যদি এমন কারো দিকে আঙ্গুল তোলা হয় যাদের বিরুদ্ধে তাঁদের পুরো কর্মজীবন বা অবসরের পর থেকে এখন পর্যন্ত কেউ কখনও কোনো প্রশ্ন তুলতে পারেনি, কেননা সততা ও নিষ্ঠার জন্য আজীবন তাঁরা নিজ কর্মস্থল থেকে শুরু করে সর্বমহলে সম্মানিত, তাহলে ধরে নেওয়া যায় যে প্রশ্ন তুলতে চেষ্টা করছে তার মধ্যে নিশ্চয়ই কোনো অসৎ উদ্দেশ্য আছে। স্থানীয় কিছু সাংবাদিক ভাইয়েরা যার ইন্ধনে এসব করছেন উনাদের ভাবা উচিৎ ছিলো একজন দুশ্চরিত্র লোকের কথায় কখনও কোনো ভদ্রলোককে প্রশ্নবিদ্ধ করা যুক্তিযুক্ত নয়।
রাষ্ট্রীয় আইনে তিনি যথাযথ বিচার ও তাঁদের এই হেনস্থার সাথে জড়িত অপরাধীদের উপযুক্ত শাস্তি কামনা করেন।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]