রেজিঃ নং ডিএ ৬০০৯ | বর্ষ ১৪ | ৪ পৃষ্ঠা ৩ টাকা || রবিবার | ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
কুড়িগ্রামে ধরলার পানি বিপদসীমার উপর
নয়ন দাস কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ
উজানে বৃষ্টিপাতের কারণে কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। রবিবার সকালে ধরলা নদীর পানি ব্রীজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এছাড়াও বেড়েছে তিস্তা ও ব্রহ্মপূত্র নদের পানি। তিস্তা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ৩১ সে.মিটার, ব্রহ্মপূত্র নদের পানি চিলমারীতে ৩০ সে.মিটার এবং নুনখাওয়া পয়েন্টে ৯০ সে.মিটার বিপৎসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে নিম্নাঞ্চলে বন্যার পানি প্রবেশের ফলে ডুবতে শুরু করেছে ফসলিজমিসহ বসতবাড়ি। ফলে দুশ্চিন্তায় পরেছে বোরো চাষীরা।রবিবার সকালে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, ধরলা নদী অববাহিকায় বিপদসীমার উপরে পানি ওঠায় বন্যার পানি ঢুকতে শুরু করেছে নীচু এলাকায়। বিভিন্ন এলাকায় পানি প্রবেশের ফলে নিম্নাঞ্চলে লাগানো বোরো ধান, পাট ও বিভিন্ন ধরণের শাকসবজি তলিয়ে যেতে শুরু করেছে। এছাড়াও গ্রামের সড়কগুলোতে পানি ঢোকায় চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।
সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের সবুজ পাড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুল কাদের জানান, রাত থেকে পানি বাড়তে শুরু করেছে। পানি বৃদ্ধি পেয়ে দুপুরে আবার স্থিতিশীল রয়েছে।এই গ্রামের কৃষক রহমত আলী জানান, জগমোহনের চরে নদীতে বাড়ি ভাঙার ফলে এখানে নীচু এলাকায় জমি কিনে বাড়ি করেছি। ভাবছিলাম এবার বন্যা হবে না। কিন্তু পানি যেভাবে বাড়ছে তাতে বোরো আবাদ মনে হয় বন্যায় খেয়ে যাবে। রাতে ঘুম হয় না। খুব দুশ্চিন্তায় আছি।সদরের সিএন্ডবি ঘাট এলাকার পটল চাষী হায়বর আলী জানান, পটলের শেষ আবাদটা পাইলাম না। তারমধ্যে রাত থেকে হু-হু করে পানি ঢোকা শুরু হয়েছে। এখন ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে এবার দেরীতে বন্যা হওয়ায় চাষীদের তেমন একটা ক্ষতি হয়নি। ভালই লাভ পেয়েছে তারা।কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, তিস্তার পানি কিছুটা বাড়তে পারে। তবে ধরলা নদীর পানি স্থিতিশীল রয়েছে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]
Copyright © 2024 দৈনিক শিরোমনি | shiromoni.com. All rights reserved.