শেখ তোফাজ্জেল হোসেন দৈনিক শিরোমণিঃ গত ০২/১২/২০২১ইং ও ০৩/১২/২০২১ইং তারিখদ্বয়ে অনুষ্ঠিত খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সিন্ডিকেটের ৭৬তম (জরুরী) সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের অধ্যাপক ও লালন শাহ্ হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মোঃ সেলিম হোসেন এর ৩০/১১/২০২১ইং তারিখে অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার প্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত কমিটি তদন্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে একটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে ও সংশ্লিষ্ট ঘটনার অপরাধের ভিত্তিতে ছাত্র-শৃংখলা কমিটির সদস্য-সচিব ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের নিকট কৈফিয়ত তলব করে। পরবর্তীতে ০৪/০১/২০২২ইং ও ০৫/০১/২০২২ইং তারিখদ্বয়ে ছাত্র-শৃংখলা কমিটিতে তদন্ত প্রতিবেদনসহ সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের দেয়া কৈফিয়ত তলবের জবাবসমূহ উপস্থাপন করা হয়। সংশ্লিষ্ট তদন্ত প্রতিবেদন ও জবাবসমূহ পর্যালোচনা করে ছাত্র-শৃংখলা কমিটি বিস্তারিত আলোচনা শেষে সর্ব-সম্মতিক্রমে সংশ্লিষ্ট ৪৪ জন শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকার ও মেয়াদে শাস্তি প্রদান করা হয়।
সাজা প্রাপ্তদের মধ্যে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ’১৩ ব্যাচের সাদমান নাহিয়ান সেজান, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ’১৬ ব্যাচের হাসান আব্দুল কাইয়ুম, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ’১৬ ব্যাচের মোহাম্মদ কামরুজ্জামন (রাজ্জাক), কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ’১৬ ব্যাচের রিয়াজ খান নিলয়-কে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিরতরে বহিষ্কার করা হয়েছে।সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ’১৫ ব্যাচের মোহাঃ তাহমিদুল হক ইশরাক, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ’১৬ ব্যাচের মাহমুদুল হাসান, লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ’১৫ ব্যাচের মোঃ সাদমান সাকিব, ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ’১৬ ব্যাচের মাহিন মুনতাসির, লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ’১৫ ব্যাচের এ. এস. এম রাগিব আহসান মুন্না, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ’১৬ ব্যাচের মীর জামিউর রহমান, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ’১৩ ব্যাচের রুদ্রনীল সিংহ শুভ-কে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ০২ (দুই) শিক্ষাবর্ষের (০৪ টার্ম: ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের বিজোড় টার্ম থেকে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের জোড় টার্ম পর্যন্ত) জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে এবং অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আবাসিক হল থেকে চিরতরে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া, সতর্ক করা হয়েছে যে, ভবিষ্যতে তাদের দ্বারা ছাত্র শৃংখলা পরিপন্থী কোন অপরাধ সংঘটিত হলে এবং তা প্রমাণিত হলে বা নৈতিক স্খলনের প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃংখলা পরিপন্থি কোন কর্মকান্ডে জড়িত হবে না এবং তাদের দ্বারা অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন আপত্তিকর ঘটনা বা নৈতিক স্খলন বা অন্য কোন অপরাধ সংঘটিত হবে না এ মর্মে তাদের এবং তাদের অভিভাবককে লিখিতভাবে মুচলেকা প্রদান করতে বলা হয়েছে। ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ’১৭ ব্যাচের আনিকুর রহমান-কে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ০১ (এক) শিক্ষাবর্ষের (০২ টামর্: ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের বিজোড় ও জোড় টার্ম) জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে এবং অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আবাসিক হল থেকে চিরতরে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া, সতর্ক করা হয়েছে যে, ভবিষ্যতে তার দ্বারা ছাত্র শৃংখলা পরিপন্থি কোন অপরাধ সংঘটিত হলে এবং তা প্রমাণিত হলে বা নৈতিক স্খলনের প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃংখলা পরিপন্থী কোন কর্মকান্ডে জড়িত হবে না এবং তাদের দ্বারা অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন আপত্তিকর ঘটনা বা নৈতিক স্খলন বা অন্য কোন অপরাধ সংঘটিত হবে না এ মর্মে তাকে এবং তার অভিভাবককে লিখিতভাবে মুচলেকা প্রদান করতে হবে।মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ’১৬ ব্যাচের ফয়সাল আহমেদ রিফাত, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ’১৭ ব্যাচের ইমরান হোসেন আওয়াল, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ’১৬ ব্যাচের মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ শুভ্র, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ’১৭ ব্যাচের মোঃ ফাইয়াজ রহমান, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ’১৬ ব্যাচের নূর মোহাম্মদ, ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ’১৬ ব্যাচের মোঃ নাইমুর রহমান অন্তু, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ’১৭ ব্যাচের মোঃ সাবির জোয়ারদার, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ’১৭ ব্যাচের মোঃ মাহবুবুর রহমান (রাফি), সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ’১৭ ব্যাচের মোঃ আতিকুর রহমান,ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ’১৭ ব্যাচের মোঃ সাদিকুল ইসলাম, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ’১৭ ব্যাচের নাজমুস সাকিব সিফাত, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ’১৭ ব্যাচের মোঃ গোলাম কিবরিয়া, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ’১৭ ব্যাচের ওসমান ফারুক, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ’১৭ ব্যাচের সাগর তরফদার, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ’১৭ ব্যাচের প্রান্ত কর্মকার, ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ’১৭ ব্যাচের সাফাত হাসান, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ’১৭ ব্যাচের মানিক কুমার সরকার, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ’১৬ ব্যাচের মোঃ আমিনুল ইসলাম,কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ’১৭ ব্যাচের মোঃ মুহিব্বীন হোসেন সরদার, ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ’১৬ ব্যাচের মোঃ ইমতিয়াজ আহমেদ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ’১৭ ব্যাচের সাফায়েত মাহবুব, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ’১৭ ব্যাচের মোঃ আনোয়ার হোসেন সাকিব-কে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ০১ (এক) শিক্ষাবর্ষের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে, এই শাস্তি আপাতত: স্থগিত থাকবে। ভবিষ্যতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র থাকাকালীন তাদের দ্বারা কোন ধরনের অপরাধ বা অসদাচরণ সংগঠিত হলে এবং তা প্রমাণিত হলে, এই শাস্তি আপনাআপনি তাদের উপর বলবৎ হবে। তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আবাসিক হল থেকে চিরতরে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া, তারা অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃংখলা পরিপন্থি কোন কর্মকান্ডে জড়িত হবে না এবং তাদের দ্বারা অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন আপত্তিকর ঘটনা বা নৈতিক স্খলন বা অন্য কোন অপরাধ সংঘটিত হবে না এ মর্মে তাদেরকে এবং তাদের অভিভাবককে লিখিতভাবে মুচলেকা প্রদান করতে বলা হয়েছে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ’১৭ ব্যাচের আহসানুল আবেদীন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ’১৭ ব্যাচের কবির হোসেন, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ’১৭ ব্যাচের মোঃ শুভ ম-ল, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ’১৭ ব্যাচের শাহরিয়ার আহমেদ মুশফিক, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ’১৭ ব্যাচের ফয়সাল কবির ফাহিম, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ’১৭ ব্যাচের শাফিন আহমেদ অনন্ত, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ’১৮ ব্যাচের মোঃ আদনান ইসলাম, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ’১৮ ব্যাচের সাকিব সরদার, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ’১৯ ব্যাচের সানজিদুল ইসলাম, লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ’১৫ ব্যাচের মোঃ সাদাফ হেলাল-কে ১০,০০০/- (দশ হাজার টাকা) জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া, এই মর্মে তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে যে, ভবিষ্যতে তাদের দ্বারা ছাত্র শৃংখলা পরিপন্থি কোন অপরাধ সংঘটিত হলে এবং তা প্রমাণিত হলে বা নৈতিক স্খলনের প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং তারা অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃংখলা পরিপন্থি কোন কর্মকান্ডে জড়িত হবে না এবং তাদের দ্বারা অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন আপত্তিকর ঘটনা বা নৈতিক স্খলন বা অন্য কোন অপরাধ সংঘটিত হবে না এ মর্মে তাদেরকে এবং তাদের অভিভাবককে লিখিতভাবে মুচলেকা প্রদান করতে বলা হয়েছে।
১৩ views