করোনাভাইরাস পরিস্থিতির ক্ষতি কাটাতে কৃষি খাতের জন্য নতুন করে তিন হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, এই প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ব্যাংক থেকে চার শতাংশ সুদে ঋণ নিতে পারবে কৃষক। ব্যাংক এই প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে এক শতাংশ হার সুদে তহবিল পাবে। এর সঙ্গে আরও তিন শতাংশ বাড়তি নিয়ে তারা ঋণ বিতরণ করতে পারবে। ছয় মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ এই ঋণের অর্থ পরিশোধ করতে হবে ১৮ মাসের মধ্যে (১২ মাস + গ্রেস পিরিয়ড ৬ মাস)।
এর আগে গত বছরের এপ্রিলে পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ চালু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মধ্যে প্রায় ৯২ শতাংশ বিতরণ করা হয়েছে।
এই তহবিলের মেয়াদ জুনে শেষ হয়েছে। কৃষকদের সহায়তার লক্ষ্যে নতুন এই প্রণোদনা প্যাকেজ চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ঋণ পাবেন যারা
নতুন এই স্কিমের আওতায় অংশগ্রহণকারী ব্যাংকগুলোকে নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে ঋণ বিতরণ নিশ্চিত করতে হবে। আগের ঋণ নেওয়া ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে অংশগ্রহণকারী ব্যাংক নিজ ব্যাংক হতে প্রদত্ত বিদ্যমান ঋণ সুবিধার অতিরিক্ত ২০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ (সর্বোচ্চ ১০ কোটি টাকা) এ স্কিমের আওতায় বিতরণ করতে পারবে।
নতুন কৃষকের জন্য ঋণের সর্বোচ্চ পরিমাণ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ‘কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা’ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাইয়ের ভিত্তিতে বিতরণ করতে পারবে। ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও বর্গাচাষিদের শস্য/ফসল চাষের জন্য এককভাবে জামানতবিহীন সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ বিতরণ করা যাবে।
গৃহস্থালি পর্যায়ে গাভী পালন, গরু মোটাতাজাকরণ খাতে ব্যক্তিগত গ্যারান্টির বিপরীতে ঋণ প্রদানে অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে। শস্য ও ফসল ঋণ ব্যতীত অন্যান্য খাতের ঋণগুলোর ক্ষেত্রে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ন্যূনতম জামানত/সহায়ক জামানত গ্রহণের বিষয়ে ব্যাংক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে। এ স্কিমের আওতায় গৃহীত ঋণ কোনোভাবেই গ্রাহকের পুরনো ঋণ সমন্বয়ের জন্য ব্যবহার করা যাবে না। ঋণ খেলাপি হলে ঋণ প্রাপ্তির যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]