আরশাদুল ইসলাম ঝন্টু কেশবপুর যশোর প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমনিঃ যশোরের কেশবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক আলাউদ্দিন আলা দ্বিতীয় পর্যায়ে তাঁর আর্থিক সম্পদের বিবরণী প্রকাশ করেছেন। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের সম্পদের বিবরণী পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ইউপি চেয়ারম্যান হওয়ার পর তাঁর সম্পদ কমেছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের আর্থিক সম্পদ বিবরণী প্রকাশ জোরদারকরণ শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে ইউনিয়ন ভিত্তিক তিনিই কেশবপুরে প্রথম এটি প্রকাশ করলেন।রোববার দুপুরে রাইটস যশোরের উদ্যোগে সদর ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে ইউনিয়ন ভিত্তিক দ্বিতীয় পর্যায়ে আর্থিক সম্পদ বিবরণী প্রকাশ বিষয়ক এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক আলাউদ্দিন আলার সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক ছিলেন, রাইটস যশোরের প্রোগ্রাম ম্যানেজার এস এম আজহারুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, রাইটস যশোরের প্রোগ্রাম অফিসার আবু সাঈদ, প্রকল্পের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সভাপতি কবির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিনসহ পরিষদের সদস্যবৃন্দ।কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন বলেন, বর্তমানে চাকরি সূত্রে আমার বাৎসরিক আয় ৩ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। নির্ভরশীলদের কৃষি খাত থেকে আয় ২ লাখ টাকা এবং চাকরিজীবী স্ত্রীর আয় ৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা। নিজের নামে ৩ বিঘা, নির্ভরশীলদের ৮ বিঘা জমি রয়েছে। তিনি ৯ লাখ টাকা দেনা আছেন।তিনি আরও বলেন, গত ইউপি নির্বাচনের আগে চাকরি সূত্রে তাঁর বাৎসরিক আয় ছিল ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা। নির্ভরশীলদের কৃষি খাত থেকে আয় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং চাকরিজীবী স্ত্রীর আয় ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। নিজের নামে ৩ বিঘা, স্ত্রীর নামে ৯ শতক, নির্ভরশীলদের ৮ বিঘা জমি আছে। তিনি ৯ লাখ টাকা দেনা আছেন। ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন বলেন, নির্বাচনে চেয়ারম্যান হওয়ার পর আমার সম্পদ কিছুটা কমেছে। সম্পদের বিবরণসহ আয়ের উৎস রাইটস যশোরের কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিয়েছি।