মোঃ শহিদুল ইসলাম, কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি,দৈনিক শিরোমণিঃ
বর্তমান স্মার্টফোনের সহায়তায় নতুন প্রজন্ম আজ আসক্ত হয়ে পড়েছে অনলাইন গেম নামের এক করুণ নেশায়। ঘরে–বাইরে, রাস্তা–ঘাটে অনেককে দেখা যায়, পড়াশোনায় ফাঁকি দিয়ে গেম খেলছে। মাদকাসক্তির মতোই অনলাইন গেম বর্তমান তরুণদের গ্রাস করে ফেলছে।পিছিয়ে নেই ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের শিক্ষার্থীরা। লকডাউনে সকলেই প্রায় বই থেকে দুরে। অনলাইন ক্লাসের ছুতোয় এ অঞ্চলের শতভাগ শিক্ষার্থী স্মার্টফোনের মালিক। এতে সংক্রামকের মত ফ্রি ফায়ার ও পাবজি গেমে নিজেকে জড়িয়ে ফেলছে তারা। কোটচাঁদপুরের প্রাইমারি স্কুলের বাচ্চা থেকে শুরু করে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, এমনকি অনার্সপড়ুয়া বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের তরুণেরাও অনলাইন গেমের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছেন; যা এখন শুধু একটি নেশা নয়, মানসিক সমস্যায়ও পরিণত হয়েছে। একসময় তারা অবসর কাটাত বই পড়ে, মাঠে খেলে, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে। কিন্তু বর্তমান সংস্কৃতি–সভ্যতার চর্চাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তারা এখন অনলাইনভিত্তিক গেমগুলোকে আপন করে নিচ্ছে।শুশীলরা বলছেন, ১৮ বছরের নিচে সকল শিক্ষার্থীকে নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে মোবাইল ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করতে হবে। করোনাকালীন সময়ে অনলাইন ক্লাসের প্রয়োজন আছে। এজন্য সন্ধ্যায় বা সকালে সময় নির্ধারণ করে দিতে এ অঞ্চলের সকল গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিকে একত্রিত হতে হবে।মূলতঃ করোনার প্রভাবে কোটচাঁদপুরের অলিতে গলিতে দেখা যায় মাথা নিচু করে খেলছে অনলাইন গেম।
সারা দেশ ব্যাপী দিনে দিনে তা বাড়ছে। এতে অভিভাবক মহলে দুশ্চিন্তা বাড়ছে। অনলাইনে ক্লাস করার অজুহাতে মোবাইল হাতে পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। কোন ভাবেই একবার ফ্রি ফায়ার ও পাবজি গেমে নিজেকে জড়িয়ে ফেললে তাকে আর ফেরাতে পারছেন না অভিভাবকরা।শিঘ্রই উঠতি বয়সের শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে হলে অভিভাবকদের পাশাপাশি সমাজের সচেতন মহল, শিক্ষক-শিক্ষিকা, জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসন এগিয়ে আসবে এমনটাই প্রত্যাশা করছেন সকল শ্রেনি-পেশার ভুক্তভোগী জনগন।
৪০ views