বড়সড় ঘোষণা ভারতের কেন্দ্র সরকারের। দেশে মাস ভ্যাকসিনেশনের জন্য যে দুটি ভ্যাকসিন অনুমোদন পেয়েছে, সেই কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন প্রস্তুতকারক সংস্থাকে সতর্ক করল সরকার। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এই দুটি ভ্যাকসিনে যদি কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়, তবে দ্রুত কোম্পানিগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্র। এই ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলিকেই তার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সেই সঙ্গে গোটা ঘটনার রিপোর্ট কেন্দ্রকে দিতে হবে বলেও জানানো হয়েছে।
বিশেষ সূত্রে খবর ভারত বায়োটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড ও সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া এই দুই সংস্থা যে কোনও রকম ক্ষতির জন্য দায়ি থাকবে বলে কেন্দ্র জানিয়েছে। তাদেরই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ভ্যাকসিনের যে বরাত কেন্দ্র এই কোম্পানি দুটিকে দিয়েছে, সেই চুক্তিপত্রেই লেখা রয়েছে এই তথ্য। যদিও দুই সংস্থার পক্ষ থেকেই জানানো হয়েছে, কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রয়ার ভয় তাঁদের তৈরি ভ্যাকসিনে নেই।
এদিকে, কেন্দ্রের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১৬ জানুয়ারি দেশজুড়ে শুরু হচ্ছে টিকাকরণ। সারা ভারতে ২৯৩৪ টি সাইট থেকে এই ভ্যাকসিন প্রদান হবে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, প্রথম দিনে ৩ লক্ষ স্বাস্থ্যসেবা কর্মী টিকা পাবেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক সমস্ত রাজ্যকে “প্রতি সাইটে প্রতি দিন অযৌক্তিক সংখ্যক টিকার ব্যবস্থা না করার পরামর্শ দিয়েছে।” কারণ প্রতি সেশনে সর্বাধিক ১০০ জনকে টিকার সুবিধা দেওয়া যাবে।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের তরফে রাজ্যগুলিকে পরামর্শ হয়েছে, তাঁরা যেন প্রতিদিন প্রতি সেশনে ১০০ টি করে ডোজ দিতে পারে, এবং একই সঙ্গে ১০ শতাংশ অপব্যয় হওয়ার সম্ভাবনার কথাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যগুলিকে। অযথা তাড়াহুড়ো না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এই মুহুর্তে ভারতে দুটি ভ্যাকসিন রয়েছে। এরমধ্যে একটি হল অক্সফোর্ডের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড’, যা তৈরি করেছে ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউট। অন্যদিকে দেশীয়ভাবে ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভাক্সিন ভারতে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত হয়েছে। কিন্তু ভ্যাকসিনগ্রহণকারীরা যে তাঁদের পছন্দ মতো ভ্যাকসিন বেছে নেবেন সেটা হচ্ছে না।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]