গ্রুপ পর্ব বেশ নীরবেই কাটিয়েছে নেদারল্যান্ডস। প্রথম ম্যাচে সেনেগালকে ২-০ গোলে হারানোর পর দ্বিতীয় ম্যাচে ইকুয়েডরের সঙ্গে ১-১ ড্র করে। শেষ ম্যাচে হালকা ঢংয়ে খেলে কাতারের বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ে শেষ ষোলোয় ওঠে ডাচরা। শেষ ষোলোতে যুক্তরাষ্ট্রকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে তিনবারের বিশ্বকাপ রানার্সআপরা এখন কোয়ার্টার ফাইনালে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এখন পর্যন্ত এটাই হতে যাচ্ছে কাতার বিশ্বকাপে ডাচদের জন্য সবচেয়ে কঠিন ম্যাচ—এ নিয়ে কারও মনে সন্দেহ থাকার কোনো কারণ নেই।অন্যদিকে আর্জেন্টিনার শুরুটা ছিল যাচ্ছেতাই। প্রথম ম্যাচেই সৌদি আরবের কাছে ২-১ গোলে হেরে নিজেদের অনিশ্চয়তার মধ্যেই ফেলেছিল তারা। শেষ ষোলোতে যেতে মেক্সিকো ও পোল্যান্ডের বিপক্ষে পরের দুটি ম্যাচে জিততেই হতো। দ্বিতীয় ম্যাচ থেকেই ঘুরে দাঁড়িয়ে মেক্সিকো আর পোল্যান্ড—দুই দলের বিপক্ষেই ২-০ গোলে জিতে গ্রুপ শীর্ষে থেকেই দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করেছে তারা। শেষ ষোলোতে অস্ট্রেলিয়াও বাধা হয়নি মেসিদের। হেরেছে ২-১ গোলে। হ্যাঁ, নেদারল্যান্ডসের মতোই কোয়ার্টার ফাইনালটা হতে যাচ্ছে এখনো পর্যন্ত কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার সবচেয়ে কঠিন ম্যাচ।দু পাই দলের লড়াইয়ের অতীত ইতিহাসটা অবশ্য নেদারল্যান্ডসের পক্ষেই। এখনো পর্যন্ত আর্জেন্টিনার সঙ্গে বিশ্বকাপে পাঁচবার মাঠে নেমে দুবার জিতেছে নেদারল্যান্ডস। আর্জেন্টিনা জিতেছে একবার। ড্র হয়েছে দুটি ম্যাচ। এই ড্র হওয়া দুটি ম্যাচের একটি ছিল ২০১৪ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল। যেটিতে আর্জেন্টিনা টাইব্রেকারে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে জায়গা করে নিয়েছিল ফাইনালে। ১৯৭৪ সালে পশ্চিম জার্মানির বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডস ৪-০ গোলে হারিয়েছিল আর্জেন্টিনাকে। ১৯৭৮ সালের ম্যাচটি ছিল আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপের ফাইনাল। মারিও কেম্পেসের জাদুতে সে ম্যাচে আর্জেন্টিনা ৩-১ গোলে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছিল। এর পরের লড়াইটি ১৯৯৮ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল। ডেনিস বার্গক্যাম্পের সেই জাদুকরি গোলের ম্যাচ। ডাচরা জিতেছিল ২-১ গোলে। ২০০৬ সালে জার্মানি বিশ্বকাপে গোলশূন্য ড্রয়ের পর ২০১৪-বিশ্বকাপের সেমিফাইনালও নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে ছিল ০-০। এরপর টাইব্রেকারে সেদিন ডাচদের ভাগ্য-বিপর্যয় ঘটে। এর মানে, নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে আর্জেন্টিনা শেষবার সরাসরি জিতেছিল ৪৪ বছর আগে, ১৯৭৮ বিশ্বকাপের ফাইনালে বুয়েনেস এইরেসে।