এবার বেশ আগেভাগেই কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দিল সরকার। ট্যানারি মালিকদের আপত্তি উপেক্ষা করে এ বছর লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম বাড়ানো হয়েছে ৫ টাকা। আর খাসি ও ছাগলের চামড়ার দাম বেড়েছে ২ টাকা।
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) দুপুরে এক ভার্চুয়াল মিটিং শেষে এ দাম ঘোষণা করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
এসময় বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ঢাকায় লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। গত বছর যা ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। একই চামড়া ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট ৩৩ থেকে ৩৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে; গত বছর যা ছিল ২৮ থেকে ৩২ টাকা।
এছাড়া সারাদেশে খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১৫ থেকে ১৭ টাকা; গত বছর যা ছিল ১৩ থেকে ১৫ টাকা। পাশাপাশি প্রতি বর্গফুট বকরির চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ থেকে ১৪ টাকা, গত বছর যা ছিল ১০ থেকে ১২ টাকা। সবক্ষেত্রেই দাম বাড়ানো হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘গতবছর এক্সপোর্ট ট্রেডটা ভালোই হয়েছে। সবদিকে প্ল্যান করেই আগাতে হবে। সবার একটাই ইচ্ছা যেন চামড়ার ন্যায্য মূল্য পায়। আমরা ওয়েট-ব্লু চামড়া রফতানির অনুমতি দিয়েছি, এটি খুব একটা স্বস্তির নয়। যেহেতু দেশে দাম পাওয়া যাচ্ছে না তাই রফতানির অনুমতি দিয়েছি। এটা স্থায়ী হোক সেটা আমি চাই না। এবার সব পক্ষকে সঙ্গে নিয়ে চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।’
এ সময় ব্যবসায়ীরা কোরবানির পরপরই দ্রুত চামড়ায় লবণে দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার তাগিদ দিলে কোরবানির ৬ ঘণ্টার মধ্যে চামড়ায় পর্যাপ্ত লবণ দেয়ার জন্য বলেন মন্ত্রী।
এর আগে সভায় বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ ২০১৭ সালে চামড়ার যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল সেটি পুনরায় করার প্রস্তাব দেন। পরে ব্যবসায়ীরা তার সেই প্রস্তাবে আপত্তি জানান। এরপর ব্যবসায়ীদের প্রস্তাবনা মেনে নিয়ে পশুর চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। পরে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকেও বাণিজ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবিত চামড়ার দাম মেনে নেয়ার কথা জানানো হয়।
সভায় শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা, বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সভাপতি শাহীন আহমেদসহ ব্যবসায়ী নেতারা বক্তব্য দেন।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]