ডেস্ক রিপোর্ট দৈরিক শিরোমণিঃ খুলনা জেলার কয়েকটি উপজেলার সমন্নয়ে বিল ডাকাতিয়া অবস্থিত। এই বিলে সমস্ত উপজেলার হাজার হাজার কৃষক ধান, মৎস্য ও তরিতরকারি চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। গত কয়েক বছরে অনাবৃষ্টি-অতিবৃষ্টির ফলে মৎস্য চাষিরা সর্বশান্ত হয়ে ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে অর্ধাহারে-অনাহারে দিন যাপন করিতেছে। সরকার কৃষি ব্যাংকের দেওয়া কৃষি ঋণের সুদ মওকুফ করলেও ঋণের আসল টাকা পরিশোধ করার সংগতি কৃষিজীবী ও মৎস্যজীবীরা হারিয়ে ফেলেছে। এবার ভিন্নরূপে এ অঞ্চলের কৃষকেরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। বিলডাকাতিয়ার চারিপাশে উঁচু জমিতে রোপা আউশ ধানের চাষ করে কিছুটা ক্ষতিপুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলেও বিধি বাম। প্রচন্ড খরায় জমির মাটি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। আষাঢ় শ্রাবণ মাসে বৃষ্টির দেখা মিললেও ধুলা-মরা ছাড়া গাছের গোড়ায় পানি পর্যন্ত নাই। প্রচন্ড খরায় জমির মাটি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে এবং ধান গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে বলে কৃষকেরা জানিয়েছে। সেচের কথা বললে এলাকার কৃষকরা জানান জমির চারিপাশে শুকনো তাই পানি দিয়ে রাখা যাচ্ছে না বিদায় অনেক কৃষক ধান ফসলের আশা ছেড়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে বৃষ্টি না হয়ওয়ায় এলাকা মরুভূমির মতো রূপ নিয়েছে। জানা যায় শলুয়া-থুকরো-শাহাপুর এলাকায় এলাকায় নদীর সাথে সম্পৃক্ত গেট খুলে নদীর লোনা পানি খাল দিয়ে বিলডাকাতিয়ায় ঢুকে কৃষকের চাষ করা সবজি বাগান লবণ পানিতে নিঃশেষ হয়ে গেছে। তাছাড়া এই লবণ পানি ঘেড়ে ঢুকে সাদা মাছ মরে যাচ্ছে বলে মৎসজীবীরা অভিযোগ জানিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়ন্ত্রিত এলাকার জনপ্রতিনিধিরা এই সমস্ত বিচার বিশ্লেষণ না করে খামখেয়ালি মতে নদীর নোনা পানি ঢুকিয়ে কৃষকদের ও মৎস্যজীবীদের মতামত না নিয়ে তাদেরকে ক্ষতির সম্মুখীন করেন। বিল ডাকাতিয়ার চারিপাশে যে সমস্ত কৃষক এবং কৃষক প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে আলোচনার মাধ্যমে নদীর পানি গেট খুলে উঠানো নামানো হয় অথচ খানজাহান আলী থানা এলাকার কোন প্রতিনিধি এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে জানান। এ ব্যাপারে খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলম এর সহিত মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তির আশ্বাস দেন।