অনলাইন @ হলুদের গুণগত মান ভালোর হওয়ায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাচ্ছে পাহাড়ের হলুদ। তবে উৎপাদিত হলুদের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় লোকসান গুনছেন হলুদ চাষীসহ এ খাতের সংশ্লিষ্টরা। খাগড়াছড়িতে উৎপাদিত হলুদের দেশব্যাপী খ্যাতি রয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া ও পাহাড়ি মাটি হলুদ চাষের উপযোগী হওয়ায় খাগড়াছড়িতে প্রতি বছর ব্যাপক পরিমাণ হলুদ উৎপাদিত হয়। পাহাড়ি টিলা ভূমি ছাড়াও পাহাড়ের সমতল অংশে প্রতি বছর হলুদ চাষ করেন চাষীরা। ফলন ও জাত ভালো হওয়ায় কমলা সুন্দরী ও বিভিন্ন জাতের হলুদ উৎপাদন করছেন কৃষকরা। উৎপাদিত হলুদ চাষীদের কাছ থেকে পাইকাররা কিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ করে। হলুদের চাহিদা থাকায় প্রতিবছরই বাড়ছে এর চাষাবাদ। তবে বিগত তিন থেকে চার বছর ধরে হলুদের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার কথা জানান চাষীরা। কয়েক বছর আগেও প্রতিমণ শুকনো হলুদ সাড়ে ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকায় বিক্রি হতো। বর্তমানে প্রতিমণ শুকনো হলুদ বিক্রি হচ্ছে সাড়ে তিন হাজার থেকে ৪ হাজার টাকায়। এতে লোকসান হচ্ছে চাষীদের। খাগড়াছড়ির সদর উপজেলার হলুদ চাষী আনন্দ চাকমা জানান, ‘৪০ শতক জমিতে হলুদ চাষাবাদের খরচ হয় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। উৎপাদিত হলুদ ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করা গেলেও শ্রমিক ব্যয় ও পরিবহন খরচ বাড়ার কারণে চাষীরা লাভের মুখ দেখছেন না। খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. সফর উদ্দিন জানান, ‘খাগড়াছড়ির মাটি, আবহাওয়া ও স্থানীয় জাতের হলুদ চাষাবাদ হওয়ায় এখানকার উৎপাদিত হলুদের গুণগত মান ভালো। তবে কৃষকরা হলুদের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। এ জন্য হলুদ চাষীদের ৪ শতাংশ সুদে ঋণ দিচ্ছে সরকার।’
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]