মিহির রঞ্জন বিশ্বাস, খুলনা জেলা প্রতিনিধি:মা তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে’ সেই আমের মুকুলে পাগল করা ঘ্রাণ, মৌমাছি আনাগোনা আর গুনগুনানি গানে মুখরিত এখন খুলনার আমবাগান। শীতের শেষ ভাগে ও ফাল্গুনের আগমনী বার্তা নিয়ে খুলনা গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে আমের স্বর্ণালী মুকুল। খুলনার বিভিন্ন এলাকা শহর নগর সর্বত্র গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে ফলের রাজা আম এর স্বর্ণালী মুকুল।
শহর ও তার আশপাশ উপজেলাগুলোতে আমের স্বর্ণালী মুকুলে ছেয়ে গেছে । রাস্তার পাশে বাড়ির আঙিনায় পুকুরপাড়ে ঘেরের পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা আম গাছ গুলো যেন সোনালী চাদর জড়িয়ে আছে। আর এই চোখ জুড়ানো মুকুল দেখে খুশি গাছ মালিকরা । খুলনা বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে ছোটখাটো বাণিজ্যিক আমবাগান এছাড়া রাস্তার পাশে প্রতি বাড়ির আঙিনায় পুকুরপাড়ে ঘেরের পাড়ে রয়েছে অসংখ্য আম গাছ। এই গাছ গুলোতে সাধারণত আগাম মুকুল এসে থাকে ,যা আমের মৌসুমে স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে । দেশের দক্ষিণাঞ্চলে গুটি আম, আঁঠির আম সহ স্থানীয় নানা জাতের আম পাওয়া যায় । আমের মুকুল আসার সাথে সাথে কেউ কেউ আম গাছের গোড়ায় পানি দেয়ার কাজে ও গাছের মুকুলে স্প্রে ব্যবহারে ব্যস্ত রয়েছে।
ফুলতলা উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আল মামুন হাওলাদার বলেন ফুলতলা উপজেলা ছোট-বড় বেশ কয়েকটি আমের বাগান রয়েছে। ডিসেম্বরের শেষ থেকে মার্চের প্রথম পর্যন্ত আম গাছে মুকুল আসার সময় । আমের মুকুলের প্রধান শত্রু কুয়াশা ও হপার পোকা । পোকা দমনে আমরা কৃষকদেরকে নানা পরামর্শ দিয়ে থাকি। জৈব বালাই ব্যবস্থা , রাসায়নিক কীটনাশক ও ছত্রাক নাশক ব্যবহার করা যায় । আম গাছে মুকুল আসার ১০ দিনের ভিতরে একবার ,গুটিধরার পরে একবার ও মারবেল আকৃতি হওয়ার পরে একবার কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক আম গাছে স্প্রে করলে ভালো ফলন পাওয়া যায় । এছাড়া মুকুল আসার পরে গাছের গোড়ায় পানি ও সার দিতে হয় । আবহাওয়ার পর আমের ফলন নির্ভর করে তেমন কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এ অঞ্চলে আমের ভালো ফলন আশা করা যাচ্ছে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]