ডেস্ক রিপোর্ট দৈনিক শিরোমণিঃ শিরোমণি লিন্ডা ক্লিনিকের সামনে সড়ক দূর্ঘটনায় গুরুতর আহত বারাকপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক ধর্মীয় শিক্ষক শিরোমণি উত্তরপাড়ার মাওলানা আলী হাফেজ(৬২) এক সপ্তহ চিকিৎসাধিন অবন্থায় থেকে শুক্রবার রাত সোয়া ৮টায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে মৃত্যুবরণ করেন। গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় শিরোমণি উত্তরপাড়া মরহুমের বাসভবন সংলগ্নে জানাযা শেষে পারিবারি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। গত আড়াই মাসে খানজাহান আলী থানা এলাকায় একই ধরণের দুটি সড়ক দূর্ঘটনায় দু’জন নিহতের ঘটনায় পুলিশ ঘাতক প্রাইভেটকারটি সনাক্ত করতে পারলেও কালনা এক্রোপ্রেসের বাসটি সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। মরহুম মাও. আলী হাফেজের স্বজনরা জানায়, আলী হাফেজ গত ২০ মে শুক্রবার মাগরিবের নামাজ শেষে তিনি বাইসাইকেল যোগে শিরোমণি বাজারের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি খুলনা যশোর মহাসড়কের শিরোমণি লিন্ডা ক্লিনিকের সামনে আসলে যশোরমুখি একটি প্রাইভেটকার তার বাইসাইকেলটিকে ধাক্কা দিলে আলী হাফেজ কয়েকগজ দূরে ছিটকে পড়ে। গুরুতর আহত অবন্থায় তাকে প্রথমে খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তিতে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৩ মে মঙ্গলবার তার অবন্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয় সেখানে তিনি চিকিৎসাধিন অবস্থায় ২৭ মে শুক্রবার রাত সোয়া ৮টায় মৃত্যুবরণ করেন। মরহুম আলী হাফেজ স্ত্রী, ২পুত্র ও ২কন্যাসহ অসংখ্য গুনোগ্রাহী রেখেগেছেন। গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় মরহুমের বাসভবন সংলগ্নে জানাযায় ফুলতলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্জ শেখ আকরাম হোসেন, আটরা গিলাতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্জ শেখ মনিরুল ইসলাম, খানজাহানআলী থানা আওয়ামী লীগ নেতা শেখ আব্বাস আলী, শিরোমণি হাফিজিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ ইব্রাহীম, শিরোমণি বাজার জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ আতাউর রহমান, বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী সোবহান মোড়ল, মেম্বর নবিরুল ইসলাম রাজা, আলহাজ্জ আল আমিন, মুন্সি মঈনুল ইসলাম, মিয়া আ. গফফার, এ্যাড, কামাল হোসেনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক বিশিষ্ট ব্যক্তিগর্গ উপস্থিত ছিলেন। এদিকে কুয়েট সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সেকশন অফিসার(গ্রেড-২) এফ এম কাওছার আলী যাব্দিপুরের বাড়ী থেকে বাইসাকেল যোগে শিরোমণি বাজারের উদ্দেশ্যে বের হয়। বাজার শেষে বাড়ী ফেরার পথে খুলনা যশোর মহাসড়কের শিরোমণি বাদামতলার মোড়ল প্যালেসের সামনে আসলে গত ১৯ মার্চ শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় দ্রুতগামী কালনা এক্রাপ্রেসের একটি বাস তাকে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। কাওছার আলী এক সপ্তাহ মৃত্যুর সাথে পাঞ্জালড়ে ২৬ মার্চ শনিবার বেলা পৌনে ১২টায় খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। কালনা এক্রাপ্রেসের ঘাতক বাসটি আজ পর্যন্ত সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি পারিনি। খানজাহান আলী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রবীর কুমার বিশ্বাস জানিয়েছেন গত ২০ মে শিরোমণি লিন্ডা ক্লিনিক সংলগ্নে সড়ক দূর্ঘটনায় আহত মাও. আলী হাফেজ আহত হয়। তাকে ধাক্কা দেওয়া ইভেটকারটি সনাক্ত করা গেছে তবে পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। তবে গত ১৯ মার্চ বাতামতলায় সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত শেখ কাওছার আলীকে ধাক্কা দেওয়া বাসটি সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]