সাটাফ রিপোর্টারঃ মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন বা সর্বাত্মক লকডাউনের বুধবার প্রথম দিনে খানজাহান আলী থানা এলাকায় আইন শৃংখলা বাহিনীর তৎপরতায় জরুরী প্রয়োজন ছাড়া মানুষকে রাস্তায় দেখা যায়নি। দোকানপাট ছিল বন্ধ সড়ক মহাসড়ক ছিল গণপরিবহন শুন্য ফাঁকা। লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে বৃহস্পতিবার ঠিক তার উল্টো চিত্র সড়ক-মহাসড়ক এবং বাজার গুলোর। সড়কে গণপরিবহন বাস মাইক্রোবাস দেখা না গেলেও পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাস্তায় দাপিয়ে বেড়িয়েছে ইজিবাইক, ভ্যান, রিক্রা. মটরসাইকেল এবং পন্যবাহী ট্রাক। কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিন ছিল ঢিলেঢালা থানা এলাকার বড় বড় মুদি দোকানসহ বিভিন্ন দোকানপাট খুলতে দেখা গেছে এবং রাস্তায় যাত্রীবহন করতে দেখাগেছে ইতিবাইক, ভ্যান, রিক্রাা, মটরসাইকেলে।
কঠোর লকডাউনের(১৪ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত) গত দুই দিনে খানজাহান আলী থানা এলাকার আফিলগেট থেকে ফুলবাড়ীগেট এলাকা পর্যন্ত ঘুরে দেখাগেছে, কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন বুধবার মহাসড়কের রাস্তায় ছোট যানবাহনসহ কোন গণপরিবহন দেখা যায়নি। সড়কে যানবাহন ছিল না বল্লে চলে যা দুই একটি ইজিবাইক দেখাগেছে তাও জরুরী রোগী বহন করার কাজে রাস্তায় বের হয়েছে। অপর দিকে আফিলগেট, ইষ্টার্ণগেট, শিরোমণি, বাদামতলা এবং ফুলবাড়ীগেট এলাকার মার্কেটের দোকানপাট ছিল বন্ধ, বাজার ছিল সাধারণ মানুষ শুন্য ফাঁকা। গতকাল বৃহস্পতিবার লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে ঠিক তার উল্টো চিত্র সড়কের, রাস্তা গুলোতে ইজিবাইক, রিক্রাা, মটরসাইকেলসহ ছোট যান চলাচল করতে দেখে গেছে। আফিলগেট, ইস্টার্ণগেট, শিরোমণি, বাদামতলা এবং ফুলবাড়ীগেট এলাকার মার্কেটের বড় বড় দোকানপাট ছিল খোলা। প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে সাধারণ মানুষকে রাস্তায় এবং বাজার ঘাটে বের হয়ে আসতে দেখা দেছে। সরেজমিন ঘুরে দেখাগেছে শিরোমণি বাজারের মার্কেট গুলোর মুদি দোকান, ভ্যারাটিস দোকানসহ অধিকাংশ দোকানপাট গুলো খুলে বেচাকেনা করছে। মার্কেটের ভিতরের পরিবশে দেখে মনে হবে না দেশে কঠোর লকডাউনে সরকারি ভারেব সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা চলছে। অতি জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাইরে বের না হওয়ার জন্য বলা হলেও দোকানপাট গুলোতে ভীড় করছে ক্রেতা সাধারণ মানুষ। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টায় ফুলবাড়ীগেটের বাজারের কাশেম ষ্টোর, কামাল ষ্টোরসহ বড়বড় দোকানপাট গুলো খুলে নির্বিগ্নে বেচাকেনা করছে। প্রথম দিনে পুলিশি তৎপরতা দেখা গেলেও দ্বিতীয় দিনে পুলিশি তৎপরতা কম থাকায় পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে কঠোর লডডাউন ভঙ্গকরার তৎপরতা দেখাগেছে।
খানজাহান আলী থানার অফিসার্স ইনচার্জ প্রবীর কুমার বিশ^াস বলেন, কঠোর লকডাউন বা সর্বাত্মক লকডাউনে সরকারি বিধিনিষেধ নির্দেশনা মানাতে থানা পুলিশের একাধিক টিম মাঠে বিভিন্ন পয়েন্টে বিভক্ত হয়ে কাজ করছে। সরকারি যে নির্দেশনা রয়েছে সে নির্দেশনা বাস্তবায়নে আইন শৃংখলা বাহিনী কঠোর অবন্থানে থেকে অর্পিত দায়িত্ব পালন করছে। রাস্তায় ইজিবাইক বা ছোট যান দু’একটি পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন বিশ^ব্যাপী করোনাভাইরাসের মহামারি দেশে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পাওয়ায় সবাইকে নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের রক্ষা করতে সরকারি বিধিনিষেধ মানতে হবে। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাওয়া যাবেনা। এ ব্যাপারে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।