খুলনার ফুলতলা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আলাউদ্দিন মিঠু এবং তার দেহরক্ষী নওশের গাজী হত্যা মামলার অধিকতর তদন্তের চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। চার্জশিটে খুলনা অঞ্চলের শীর্ষ চরমপন্থি নেতা শিমুল ভূঁইয়াসহ ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই খুলনার ইন্সপেক্টর মো. শহীদুল্লাহ রোববার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করেন।চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হচ্ছে পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষ নেতা শিমুল ভূঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ, মনিরুল ইসলাম ওরফে পিটপিটে সুমন, মো. তাইজুল ইসলাম রনি, মুশফিকুর রহমান রিফাত ভূঁইয়া, মো. শিমুল হাওলাদার, বিএনপি নেতা হাসনাত রিজভি ওরফে মার্শাল ভূঁইয়া, শিমুল ভূঁইয়ার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ওরফে মুক্তা, রিপন ফকির, বাদল মিয়া ও নিয়ামুল ইসলাম ওরফে শেখ ইমামুল ইসলাম।শহীদুল্লাহ জানান, প্রথমে ফুলতলা থানা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে ৮ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছিল। কিন্তু ওই চার্জশিটের বিষয়ে নিহতের পরিবার আদালতে নারাজি দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালে আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্ত করাড় জন্য পিবিআইকে দায়িত্ব দেয়।তদন্ত শেষে আগের চার্জশিটে নাম থাকা বিএনপি নেতা ড. মামুন রহমানকে অব্যাহতি দেন শহীদুল্লাহ। ড. মামুন রহমান ২০২০ সালের ২৩ নভেম্বরে লন্ডনে মারা যাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এছাড়া আগের চার্জশিটের ৭ জন ও নতুন করে আরও ৩ জনকে অন্তর্ভুক্ত করে মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৫ মে রাতে ফুলতলা উপজেলার নতুন হাট এলাকায় নিজ বাড়ির বিপরীতে নিজস্ব অফিসে বসে ছিলেন মিঠু ও তার দেহরক্ষী নওশের। এ সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে তারা নিহত হন। এ ঘটনায় নিহত মিঠুর ভাই মো. রাজ সরদার বাদি হয়ে ওই বছরের ২৭ মে ফুলতলা থানায় মামলা দায়ের করেন।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]