ডেস্ক রিপোর্চ, দৈনিক শিরোমণিঃ
দেশে করোনা সংক্রমণ এবং মৃত্যুর উর্ধ্বগতি রুখতে সারা দেশে জারী করা লকডাউনের সরকারি নির্দেশনার প্রথম দিনে গতকাল সোমবার খানজাহান আলী থানা এলাকার মহাসড়ক, বাইপাস সড়ক-সংযোগ সড়কে একমাত্র গণপরিবহন বাস ছাড়া এমন কোন যানবাহন নাই যেটি দেখা যায়নি। রাস্তা জুড়ে ছিল ট্রাক, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মাহেন্দ্র, সিএনজি, ইজিবাইক, ভ্যান-রিক্রা, মটারসাইকেল সকল ধরণের যানবাহন। অপরদিকে থানা এলাকার আফিলগেট-শিরোমণি-বাদামতলা এবং ফুলবাড়ীগেট এলাকার অধিকাংশ দোকানপাট ছিল খোলা। রাস্তা এবং বাজার গুলোর অবস্থা দেখলে মনে হবেনা দেশে লকডাউন চলছে। অবশ্যই বেলা বাড়ার সাথে সাথে আইন শৃংখলা বাহিনীর তৎপরতায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাস্তায় ছিল ছোট যানবাহন এবং খোলা ছিল দোকানপাট।
করোনায় আক্রান্ত এবং মৃত্যুর পরিসংখ্যানের নতুন রেকর্ডে সরকারি লডডাউনের প্রথম দিনে খানজাহান আলী থানা এলাকার আফিলগেট থেকে ফুলবাড়ীগেট এলাকা পর্যন্ত ঘুরে সকাল থেকে খুলনা যশোর মহাসড়ক সহ পার্শবর্তি সংযোগ সড়কে একমাত্র গণপরিবহন অভ্যন্তরিন ও দূরপাল্লার বাস ছাড়া ছ্টো যানবাহন ট্রাক, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মাহেন্দ্র, সিএনজি, ইজিবাইক, ভ্যান-রিক্রা, মটারসাইকেল সকল ধরণের যানবাহন চলাচল করতে দেখা দেখা গেছে। রাস্তায় চলাচল করা প্রাইভেটকার, মাহেন্দ্র, সিএনজি, ইজিবাইক সহ ছোট যান গুলোতে যাত্রী ছিল পুর্বের মতো। অধিকাংশ মাহেন্দ্র এবং সিএনজিতে ৫জন করে যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে দেখাগেছে। আফিলগেট, ইষ্টার্ণগেট, বাদামতলা, ফুলবাড়ীগেট এলাকার অধিকাংশ দোকানপাট ছিল খোলা। সকাল সাড়ে ৯টায় আফিলগ্টে গিয়ে দেখা যায় এখানকার অধিকাংশ দোকানপাটে চলছে বেচাকেনা। সকাল ১১টায় বাদামতলা মোড়ল মার্কেটসহ পার্শবর্তি দোকানপাট খোলা। ইচ্ছামত মানুষ চায়ের দোকান ও অন্যান্য দোকানে প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে অলস সময় পার করছে। ফুলবাড়ীগেটের আলিয়া মাদ্রাসা মার্কেট, জনতা মার্কেট, ফুলবাড়ীগেট বাজার, কুয়েট রোর্ড, দারোগা বাজার, যশোর খুলনা মহাসড়কের পার্শবর্তি দোকানপাট গুলো খোলা রেখে যথারিতি বেচাকেনা করছে। দোকানপাটের পাশাপাশি ফুটপাতের চায়ের দোকান গুলিতে দেখাগেছে সাধারণ মানুষের ভীড়। সরকারি নির্দেশনা লকডাউনের মধ্যে ও এ সকল দোকানপাটে সরকারি নির্দেশনা মানা দূরে থাক তোয়াক্কা করছেনা স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্বের। বেলা বাড়ার সাথে সাথে লকডাউনের সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে মাঠে নামে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা। খানজাহান আলী থানার অফিসার্স ইনচার্জ প্রবীর কুমার বিশ^াসের নেতৃত্বে থানার একাধিক টিম মাঠে নামে। থানা এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে এবং সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ শুরু করে পুলিশ। বন্ধ করে দেয় ছোট যানবাহন এবং দোকানপাট কিন্তু পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে লকডাউনে সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে তারা অন্যদিনের মতো স্বাভাবিক ভাবে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে দেখাগেছে। মহাসড়কের রাস্তা এবং দোকানপাটের দৃশ্য দেখে মনে হবে মহামরি করোনা ভাইরাসের মানুষের মাঝে সচেতনতার কোন বালাই নাই।
খানজাহান আলী থানার অফিসার্স ইনচার্জ প্রবীর কুমারবিশ্বাস করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশনা মেনে লকডাউন চলাকালে মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হাত থেকে নিজেকে এবং পরিবারকে রক্ষা করতে একান্ত জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হতে নিষেধ করে বলেন জরুরী প্রয়োজনে ঘরের বাইরে গেলে সকলকে মাস্ক পরিধান করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
সারা দেশে ৫ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া লকডাউন আগামী ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত চলার কথা রয়েছে। লকডাউন চলাকালে দেশের করোনাভাইরাসের প্রাদূর্ভাবের পরবর্তি পরিস্থিতি দেখে লকডাউনের বাড়ানো বা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত আসতে পারে।