শিরোমণি ডেস্ক রিপোর্ট : জন্মের অষ্টম দিনে প্রত্যেক ইহুদি ছেলে নবজাতকের মতো যিশুর খতনা করা হয়েছিল। কিন্তু এই প্রথাটি তার অনুসারীরাই পরে পরিত্যাগ করেছে। ইহুদি এবং খ্রিস্টানদের প্রার্থনা করার ধরণও অনেকটা একই রকম। যেমন দলবদ্ধ হয়ে প্রার্থনা করা।
খ্রিস্টানরা যেটিকে ক্রিসমাস বা বড়দিন বলে সেটিকে ইহুদিরা বলে হানুক্কা। খ্রিস্টানদের ইস্টারকে ইহুদিরা বলে পাসওভার। এসব দিন খ্রিস্টান এবং ইহুদিরা একই তারিখে পালন করা।খ্রিস্টানরা কেন বাচ্চা ছেলেদের খতনা করে না তার উত্তর বাইবেলে আছে।
নিউ টেস্টামেন্ট বা বাইবেলের দ্বিতীয় সংস্করণ অনুসারে খৎনা নিয়ে ইহুদি ও খ্রিস্টান ধর্মের মধ্যে বিবাদ দেখা দিয়েছিল ৫০ সালের দিকে এবং এর প্রধান ভূমিকায় ছিলেন সেইন্ট পল এবং সেইন্ট পিটার। এই বিষয়ে তারাই জোরদার ভূমিকায় ছিলেন।
“গির্জার প্রথম প্রাতিষ্ঠানিক সংঘাত ছিল এই খতনা নিয়ে,” বলেছেন মিগুয়েল পাস্তোরিনো। যিনি একাধারে উরুগুয়ের ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্ম-দর্শন এবং দার্শনিক নৃ-তত্ত্বের অধ্যাপক, ধর্মতত্ত্বের স্নাতক, দর্শনের ওপর পিএইচডি ডিগ্রীধারী এবং প্রাক্তন পুরোহিত।
সেইন্ট পল সে সময়ে কোন সেইন্ট ছিলেন না, শুধু টারসাসের পল ছিলেন। অর্থাৎ তিনি টারসাসের খ্রিষ্টান ধর্ম প্রচারক ছিলেন।
রোমান ক্যাথলিকদের মতে যিনি কঠোরভাবে খ্রিষ্টান ধর্মের নির্দেশনা মেনে চলেন, খ্রিষ্টীয় জীবন রীতি অনুসরণ করেন, চার্চে থাকেন তাদেরকে সেইন্ট বলা হয়।
তবে পলের একজন ফারিশি হওয়ার কথা ছিল। ফারিশি বলতে মোজেস ( যিনি ইসলামে মুসা নবী হিসেবে পরিচিত) প্রণীত আইনের রক্ষক বোঝানো হয়েছে।