দৈনিক শিরোমণি ডেস্ক রিপোর্ট : নুরুল হক ও রাশেদের নেতৃত্বে কোটা সংস্কার আন্দোলন দিয়ে রাজনীতির মাঠে নেমেছিলেন শিক্ষার্থীরা। ওই সময় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের প্রবল চাপ উপেক্ষা করে মাঠে রাজনীতি করতে হয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে সরকার একপর্যায়ে সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি সংস্কার করতে বাধ্য হয়। নুরুল হক ডাকসুর সহসভাপতি পদেও নির্বাচিত হন। এ সাফল্যই নুরুল হক ও রাশেদদের রাজনীতির মাঠে টেনে নিয়ে আসে। গঠন করা হয় গণ অধিকার পরিষদ।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ছিল তরুণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। তাঁদের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা তেমন ছিল না। মূলত, রাজনৈতিক অনভিজ্ঞতাই দলটিকে ইনসাফ কায়েম কমিটির ফাঁদে ফেলেছে। সাম্প্রতিক ঘটনায় তিন ধারায় বিভক্ত দলটি আর শক্তভাবে রাজনীতিতে ফিরে আসতে পারবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
প্রথমত, দলটির এখনো নিবন্ধন হয়নি। নিবন্ধন দেওয়ার নাম করে তিন পক্ষকেই সরকার কাছে টানার চেষ্টা করবে। গণ অধিকার পরিষদের বিভাজন নিঃসন্দেহে আওয়ামী লীগকে সুবিধা দেবে। তিন পক্ষের সামনেই নানা ধরনের মুলা ঝোলানো হবে। এতে গণ অধিকার পরিষদের সরকারবিরোধিতা, নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচনসহ নানা দাবি থেকে সরে আসতে হতে পারে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা দিকে যেতে পারে দলটি।