রফতানিমুখী তৈরি পোশাক খাতের বাইরে অন্যান্য শিল্প ও কর্মক্ষেত্র অনেক বেশি অগ্নিদুর্ঘটনার ঝুঁকিতে রয়েছে। গত ৬ মাসে প্রতিদিন গড়ে দুটি করে অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটেছে কর্মক্ষেত্রে। সিপিডির গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডি এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সংস্থাটির ধানমন্ডির কার্যালয়ে ‘কর্মক্ষেত্রে অগ্নিদুর্ঘটনা ও শ্রমিক নিরাপত্তা নিরসনের উদ্যোগ কোথায়’ শীর্ষক সিপিডির মিডিয়া ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।
সিপিডি একটি গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরে জানায়, প্রতি দুই দিনে একটি করে দুর্ঘটনা ঘটেছে গত ছয় মাসে। মোট ৮২টি অগ্নিদুর্ঘটনার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘটছে ঢাকায়। মারা গেছে ১২৮ জন, আহত হয়েছে ২১৩ জন। সবচেয়ে বেশি অগ্নিদুর্ঘটনার ঝুঁকিতে রয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠানগুলো। খাত হিসেবে সবচেয়ে অগ্নিদুর্ঘটনার ঝুঁকিতে রয়েছে শপিংমল, এরপর রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্বাস্থ্যসেবা খাত।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, রানাপ্লাজা দুর্ঘটনার পর দেশে তৈরি পোশাক খাতে বিভিন্ন সংস্কারের কারণে সেখানে অগ্নিদুর্ঘটনা কমে আসলেও তার বাইরে বিভিন্ন খাতের কর্মক্ষেত্রে অগ্নিদুর্ঘটনা বাড়ছে।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম জানান, মোট কর্মক্ষেত্রের সবচেয়ে বেশি অগ্নিদুর্ঘটনার ঝুঁকিতে রয়েছে শপিংমল যা ৪২ শতাংশ। এর পরের তালিকায় রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যা ২২ শতাংশ। স্বাস্থ্যসেবা খাত ১৯ দশমিক ২ শতাংশ ঝুঁকিতে আছে। ফায়ার সার্ভিসের কাজে অনেক আধুনিকায়ন হলেও অগ্নিদুর্ঘটনার ক্ষতি কমিয়ে আনতে পারছে না।
অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিডার উদ্যোগে গত বছর একটি উদ্যোগ নেয়া হয়। যেখানে ৪২ হাজার প্রতিষ্ঠানের ঝুঁকি খতিয়ে দেখা হবে। কিন্তু এই উদ্যোগে সমন্বয়হীনতার অভাব রয়েছে বলছে সিপিডি।
শিল্পে অগ্নিদুর্ঘটনা নিরসনে বিডার এই সমন্বিত উদ্যোগে আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠন আইএলওকে যুক্ত করা হয়নি। সিপিডি বলছে, আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের আনতে ও বিনিয়োগ বাড়াতে হলে এই কর্মসূচীতে আইএলওকে সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন। অগ্নিদুর্ঘটনা কমাতে শিল্প উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ বাড়ানো, শ্রমিকদের সচেতনতা বাড়ানো, আইনে শাস্তির বিধান আরো কঠোর করা, ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা বাড়ানোর সুপারিশ করেছে সিপিডি।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]