সারোয়ার হোসেন তানের প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ রাজশাহীর তানোর পৌর সদরের একটি গভীর নলকূপে পৌর যুবলীগের নামধারী নেতা বকুল হোসেন তালা ভাংচুর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সকালের দিকে পৌর সদর শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের দক্ষিন পূর্বে অবস্হিত বোরো চাষের একমাত্র ডিপে তালা ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।এঘটনা ছড়িয়ে পড়লে দিন ভর স্কিম ভুক্ত কৃষকরা চরম উত্তেজিত হয়ে পড়েছেন।হয় তো সমাধান না হলে বরেন্দ্র অফিস ঘেরাও সহ ইত্যাদি ইত্যাদি আন্দোলনের কথাও ভাবছেন সদরের জনসাধারণ। কারন এই ডিপে শুধু বোরো চাষ হয় আর এখন জমি তৈরির সময়, মুলত এজন্যই ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।এমনকি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কাও করছেন অনেকে।জানা গেছে পৌর সদর শীতলী পাড়ার মধ্যে অবস্থিত গভীর নলকুপটি অবস্থিত ।বিলে যাদের জমি আছে তারায় একটি করে আবাদ করতে পারেন এই ডিপে।আবার শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের উত্তরে কিছু জমিতে রয়েছে সবজি এবং স্কিম জুড়েই রয়েছে বীজ তলা। এখন শুরু হবে জমি তৈরির কাজ। আর এজন্য সর্বপ্রথম প্রয়োজন সেচ পানি।আর প্রায় দিন বীজ তলা ও সবজিতে পানি সেচ শুরু হয়েছে। এমন সময় শান্তিপ্রিয় ভাবে সমিতির মাধ্যমে চলমান গভীর নলকূপে সমিতির তালা ভেঙ্গে নিজস্ব তালা মারেন নানা অপরাধে অপরাধী গুবিরপাড়া গ্রামের বকুল হোসেন।সে মৃত রিয়াজ উদ্দিন ওরপে গুনুর পুত্র।বেশ কিছু কৃষকরা জানান, বকুল কে ডিপের অপারেটর নিয়োগ দিয়েছিল। কিন্ত জমিতে পানি দেওয়া নিয়ে নানা অনিয়ম দুর্নীতির কারনে তাকে অপারেটর রেখেই সমিতির মাধ্যমে ডিপ পরিচালনার দায়িত্ব দেন তৎকালীন বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। বকুলকে শুধুমাত্র অপারেটর হিসেবে অফিস থেকে ভাতা উত্তোলনের সুযোগ দেয় অফিস। কৃষকের স্বার্থ রক্ষা করতে এমন সিদ্ধান্ত নেন তৎকালীন বরেন্দ্র অফিসের সহকারী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম। তার এই সিদ্ধান্ত কে স্বাগত জানিয়ে সমিতির মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ ভাবে কোন ধরনের অভিযোগ ছাড়াই চলছে গভীর নলকূপ টি।সমিতির সভাপতি সারোয়ার হোসেন জানান, সবার মতামতের ভিত্তিতে গভীর নলকূপের সেচের দায়িত্ব দেওয়া হয় কৃষক ডলার কে। আমি দাওয়াত খেতে গেছি ওই সময় মোবাইলে জানানো হয় বকুলসহ বহিরাগত কিছু ব্যক্তিরা তালা ভাংচুর করে।কৃষকের সাথে কথা বলা হচ্ছে তারা যেটা ভালো বুঝেন সেটা করবেন।তবে বিএমডিএ অফিস থেকে মাত্র দেড় দুই কিলোমিটার দুরে এখানেই যদি এমন মহড়া হলেও বর্তমান প্রকৌশলী নির্বিকার।
০ views