এস,এম শাহাদৎ হোসাইন গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ
গাইবান্ধায় তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে দিশাহারা হয়ে পড়েছে মানুষ। সম্প্রতি নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে শুরু হয়েছে ভয়াবহ ভাঙন। এতে বিলীন হচ্ছে বাপ-দাদার বসতভিটা ও ফসলি জমি। ভাঙনের শিকার মানুষেরা সহায় সম্বল হারিয়ে চোখের জলে নির্ঘুম রাত পোহাচ্ছে। গাইবান্ধার তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনের চোখের নিমিষে বিলীন হচ্ছে সবকিছু। এসময় ভাঙনের শিকার পরিবারগুলো নির্বাক চোখে তাকিয়ে, আবার কেউবা কাঁদছিলেন অঝোড়ে। গাইবান্ধার নদ-নদীগুলোর বুকে জেগে উঠেছে প্রায় ১৬৫ বালুচর। এসব চরাঞ্চলে কয়েক যুগ ধরে বসবাস করে আসছেন প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ মানুষ। এছাড়াও নদীর তীরবর্তীতেও অনেক মানুষের স্থায়ী নিবাস। প্রত্যেক বছরের বর্ষার আগে ও পরে শুরু হয় অব্যাহত নদী ভাঙন। রাক্ষুসি নদীর ভাঙনে ইতিপুর্বে মানুষ হারিয়ে তাদের বসতভিটা, ফসলি জমি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ মসজিদ-মন্দির। ভাঙনের শিকার পরিবারগুলো ঠাঁই নিয়েছে বিভিন্ন বাঁধ, আশ্রয়ন কেন্দ্র ও অন্যের বাড়িতে। আশ্রিত মানুষেরা এখন দুর্বিষহ দিনাতিপাত করছে। গাইবান্ধার সদর উপজেলার কামারজনি, গোঘাট, কুন্দেরপাড়া, মোল্লারচর,সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, লাঠশালা, খোদ্দা, চন্ডিপুর, পাঁচপীর খোয়াঘাট, বোচাগাড়ি ও কাশিম বাজার খোয়াঘাট ও ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে নদী ভাঙনে শতাধিক ঘরবাড়ি ও সহস্রাধিক একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এছাড়াও নদীর পেটে চলে গেছে কবরস্থান, স্কুল-মাদ্রসা, মসজদি ও মন্দির। নদীর তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের শতশত পরিবার ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বলেন, নদীর তীর ভাঙন ঠেকাতে জিও ব্যাগ ও ব্লক স্থাপন কাজ চলমান রয়েছে। গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনক আব্দুল মতিন বলেন, ভাঙন কবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করা হচ্ছে। যাতে করে মানুষেরা দুর্ভোগে না পড়ে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।