মাইদুল ইসলাম,জেলা প্রতিনিধি গাইবান্ধা:গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষায় হুমকীর শিকার হয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন জহুরুল ইসলাম। প্রতিকারের দাবী জানিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা করলেন ভুক্তভোগী জহুরুল ইসলামের স্ত্রী ফারুকা বেগম।
জানা গেছে, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নের বাদামের চর গ্রামের মৃত.নাদের আলীর পুত্র জহুরুল ইসলামের সাথে একই ইউনিয়নের কাজিয়ার চর গ্রামের প্রতিপক্ষ মৃত কাশেম আলীর পুত্র জাহাঙ্গীর মিয়াগংদের দীর্ঘদিন ধরে জমি-জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। ভুক্তভোগী জহুরুল ইসলামের দাবী, বাদামের চর মৌজার জেএল নং-১০৫,খতিয়ান নং-১৮৯,দাগ নং-২০৩০ ও ২০৩১ এর ৩৭ শতকের মধ্যে ২০ শতক জমি পৈত্রিক সূত্রে মালিক। এ জমি প্রতিপক্ষ জাহাঙ্গীর মিয়াগং মিথ্যা দাবী করে জোরপূর্বক বেদখল দেয়ার অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে। সেই সাথে জমি ভোগদখল করলে মারপিটসহ খুন জখমের হুমকী দিয়ে আসতে থাকে । এমতাবস্থায় গত ১০-০৪-২০২২ ইং তারিখ দিবাগত রাত আনুমানিক ১১ টায় বিতর্কিত জমি সংলগ্ন কাজিয়ারচর বাজারে ভুক্তভোগী জহুরুল ইসলাম ও স্ত্রী ফারুকা বেগম (৪২) কে দেখতে পেয়ে প্রতিপক্ষ জাহাঙ্গীর মিয়াগং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে প্রতিপক্ষ জাহাঙ্গীর মিয়াগং ক্ষিপ্ত হয়ে জহুরুল ইসলামের উপর অতর্কিত হামলা করে মারপিটসহ গায়ের জামা টেনে ছিড়ে দিয়ে চরমভাবে লাঞ্ছিত করেন। এরপর স্ত্রী ফারুকা বেগমকে মারপিট করার উদ্যত হলে তাদের আত্মচিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে উদ্ধার করেন। এ সময় প্রতিপক্ষ জাহাঙ্গীর মিয়াগং পরবর্তীতে সুযোগ পেলে দেখে নেয়াসহ বিভিন্ন ধরণের হুমকী প্রদর্শন করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এ ব্যাপারে ফারুকা বেগম বাদী হয়ে প্রতিপক্ষ জাহাঙ্গীর মিয়াসহ ৭ জনকে অভিযুক্ত করে গত ১৩-০৪-২০২২ ইং তারিখে বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃকাঃবিঃ ১০৭/১১১(৩) ধারায় মামলা করেছেন মর্মে ভুক্তভোগী জহুরুল ইসলাম জানান।
এ নিয়ে প্রতিপক্ষ জাহাঙ্গীর মিয়ার সাথে কথা হলে জানান, হুমকিধামকির বিষয়টি মিথ্যা। এটি রেকর্ড অনুযায়ী সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত জমি। এ জমি বাজার সংলগ্ন হওয়ায় বাজারের উন্নয়ন ও ব্যবসা বানিজ্যের সুবিধার্থে ঘর উত্তোলন করা হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জু মিয়া জানান, জায়গাটি খাস খতিয়ানভুক্ত এ জমিতে জহুরুল ইসলামের দখলস্বত্ব না থাকলেও উভয়পক্ষের সার্বিক দিক বিবেচনা করে লোকজনের উপস্থিতিতে সমস্যা নিরসন করে দেয়া হয়।কিন্তু জহুরুল ইসলাম সালিশী সিদ্ধান্তের অবমাননা করে আসছেন। ভুক্তভোগী জহুরুল ইসলামের দাবী খাস খতিয়ানভুক্ত হলেও এ জমি তিনি পৈত্রিক সূত্রে দাবীদার। তাই এ জমি প্রতিপক্ষ জাহাঙ্গীরগংদের বেদখল দেয়ার অপচেষ্টার প্রশ্নই আসে না। এ ব্যাপারে তিনি জমি উদ্ধারসহ নিরাপত্তার দাবী জানিয়ে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।