গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি,দৈনিক শিরোমণিঃ গাইবান্ধায় বোরো ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। ধান ঘরে তুলতে খরচ কমাতে ও শ্রমিক সংকট সামাল দিতে গাইবান্ধার মাঠে দাপিয়ে চলছে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন। ৩০ এপ্রিল শুক্রবার সকালে গাইবান্ধার রসুলপুর ইউনিয়নের মহিষবান্দি এলাকায় দেখা যায়, হারভেস্টর মেশিন দিয়ে ধান কাটার চিত্র। এসময় মাঠেই ধান বস্তাভর্তি করতে ব্যস্ত ছিলেন কৃষক ও শ্রমিকগণ। শষ্যভান্ডার খ্যাত গাইবান্ধা জেলায় বোরো মৌসুমে লক্ষাধিক হেক্টর জমিতে ধান
চাষ করা হয়। প্রত্যেক বছরে এসব ধান কেটে ঘরে তুলতে কৃষকদের গুনতে হয় অধিক পরিমাণের টাকা। একই সঙ্গে দেখা দেয় শ্রমিক সংকট। এ সংকটের কারণে অনেক সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষেতই নষ্ট হয় ধান। কৃষকের সার্বিক সমস্যা মোকাবিলায় চলতি বোরো মৌসুমে কৃষকের মাঠে নামানো হয়েছে ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন। ইতোমধ্যে প্রায় ৪০টি মেশিন জেলার সাত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ধান কাটতে দাপিয়ে চলছে কৃষকের মাঠে। ফলে কৃষকের মুখে দেখা দিয়েছে স্বস্তির হাসি। এ মেশিনের সুফল পেতে অন্যান্য কৃষকরাও ঝুকে পড়ছে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ধান কাটতে। গাইবান্ধা কৃষি স¤প্রসারণ বিভাগ সুত্রে জানা যায় সরকারের কৃষির যান্ত্রিকীকরণে ভর্তুকি আওতায় ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন কৃষক সমিতির মধ্যে বিতরণ করা হয়। এরই মধ্যে ৪০টি মেশিন দেওয়া হয়েছে কৃষকদের। এসব মেশিন দিয়ে দ্রুত ধানকাটা এবং মাড়াই করা যায়। এতে সনাতন পদ্ধতির চেয়ে খরচ কম হয় অনেকটাই। সেই সঙ্গে ধানের ক্ষতি হয় কম। কৃষক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, শ্রমিক দিয়ে এক বিঘা জমির ধান ঘরে তুলতে খরচ হয় প্রায় ৪ হাজার টাকা। এবারে প্রথম হারভেস্টার মেশিন দিয়ে কাটা-মাড়াই করতে খরচ হয়েছে ২ হাজার টাকা। রসুলপুরের কৃষক সমিতির নেতা মিলন মিয়া বলেন, সরকারের ভুর্তকি কর্মসূচির আওতায় ও কৃষি অফিসের সহযোগিতায় এসিআই কো¤পানির কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন কেনা হয়। মেশিনটির দাম ধরা হয়েছে সাড়ে ৩১ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে সরকার দিয়েছে অর্ধেক টাকা। গাইবান্ধা জেলা কৃষি বিভাগের উপপরিচালক মাসুদুর রহমান বলেন, কৃষি ভর্তুকি কর্মসুচির আওতায় জেলায় ধান কাটার জন্য ৪০টি কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন বিতরণ করা হয়েছে। এতে করে মেশিন মালিক ও কৃষক উভয়ে লাভবান হবে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]