গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি,দৈনিক শিরোমণিঃ চলতি বোরো মৌসুমে গাইবান্ধায় প্রায় সাড়ে ৮ লক্ষ মেট্রিক টন ধান ঘরে তোলার লক্ষ্যে নিয়ে ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজে চরম ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক শ্রমিকগণ। যেন দম ফেলানোর সময় নেই তাদের। গাইবান্ধার সাত উপজেলার কৃষকগণ মাঠে ও বাড়ির উঠানে ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজ দিন রাত করছে। প্রচন্ড রোদ ও অসহনীয় দাবদাহ উপক্ষে করে কোমর বেঁধে কাজ করছেন। ববে বসে নেই গৃহবধূরাও। তারাও সোনার ফসল ঘরে তুলছে মনের আনন্দে ধান তোলার কাজ করছে। জানা যায়,গত আমন মৌসুমে গাইবান্ধায় বন্যার পানিতে ক্ষেতের ধান নষ্ট হয়েছে। শুধু ধানেই নয় ক্ষতি হয়েছে অন্যান্য ফসলাদি। বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চলতি মৌসুমে জমিতে চাষ করা হয়েছে বোরো ধান। ব্রি ধান-২৮ কাটা মাড়াইয়ের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। ব্রি ধান-২৮ ঘরে উঠানোর পরই কাটা হবে হাইব্রিড জাতের ধানগুলো। প্রত্যেক দিনেই আবওহার বিরূপ আচরণে মাঠে থাকা ধান নিয়ে কৃষকরা দুশ্চিন্তায় রয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ কাটিয়ে ধান ঘরে তুলতে পারলে হয়তো সেই বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন কৃষকরা। গাইবান্ধা কৃষি স¤প্রসারণ বিভাগ সুত্রে জানা যায়, জেলায় বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লক্ষ ২৫ হাজার ৫০০ হেক্টর। চলতি মৌসুমে চাষ হয়েছে হয়েছে ১ লক্ষ ২৮ হাজার হেক্টর। এর মধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতি হয়েছে এক হাজার ৫৫ হেক্টর জমির ধান। অবশিষ্ট ক্ষেত থেকে প্রায় সাড়ে ৮ লক্ষ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। ধান কাটা শ্রমিক মৃণাল কান্তি বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় লকডাউনে তেমন কোন কাজকর্ম ছিল না। বর্তমানে ধান কাটার কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছি। গাইবান্ধা কৃষি স¤প্রাসারণ বিভাগের উপ পরিচালক মাসুদুর রহমান বলেন বোরো মৌসুমে কৃষকদের লাভবান করতে প্রণোদনা দেয়াসহ সার্বিক পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে কৃষকদের খরচ কমানোর জন্য কম্বাইন হারভেস্টার মেশিনসহ অন্যান্য উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে ধান ফসল ঘরে তুলে কৃষকরা অনেকটাই লাভবান হবে।