এস,এম শাহাদৎ হোসাইন, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি,দৈনিক শিরোমণিঃ শেষ হওয়ার পথে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন প্লন্টের কাজ। অক্সিজেনের জন্য রংপুর কিংবা বগুড়ায় আর ছুটতে হবে না গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালেই মিলবে কৃত্রিম এ প্রাণবায়ু। শ্বাসকষ্ট জনিত রোগিদের দুর্ভোগ লাঘবের পাশাপাশি কমবে করোনা আক্রান্তদের মৃত্যুঝুঁকি।কপার পাইপ,ভ্যাপারাইজারসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ স্থাপন করা হয়েছে জেলা সদর হাসপাতালের সবগুলো ওয়ার্ডে। বসানো হয়েছে লিকুইড ট্যাঙ্ক। ১২০ শয্যার পাশে বসেছে অক্সিজেন পোর্টও। শিগগিরই অক্সিজেন সরবরাহ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মেহেদী ইকবাল। তিনি বলেন, যখন প্ল্যান্ট হ্যান্ড ওভার হবে তখন আমাদের এক্সপার্ট লোক লাগবে। তা না হলে এটা কন্ট্রোল করা যাবে না। তবে রোগিদের অক্সিজেন সাপ্লাই আমরা দিতে পারব। ভ্যাকুয়াম প্লান্ট ও এয়ার প্লান্টও স্থাপন করা হয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ আর প্লান্ট কক্ষের বাকি কাজ শেষ হলেই চালু হবে কেন্দ্রীয় এ অক্সিজেন প্লান্ট। গাইবান্ধা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী এরশাদুল হক বলেন, সামান্য কিছু কাজ বাকি রয়েছে। এগুলো ঈদের আগে অথবা ঈদের পরে শেষ হয়ে যাবে। চিকিৎসকরা বলছেন, জেলা পর্যায়ে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন প্লান্ট নির্মাণের সিদ্ধান্ত সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপ। রংপুর বিভাগীয় সাবেক পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. অমল চন্দ্র সাহা বলেন, করোনা আক্রান্ত রোগিদের জন্য ৩০-৩৫ লিটার পর্যন্ত অক্সিজেন লাগে। রোগিদের যদি সঠিক সময়ে অক্সিজেন দেওয়া য়ায় তাহলে অনেক জীবন রক্ষা পাবে। সরকারের স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় ৩ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন প্লান্টটি নির্মাণ করছে স্পেক্ট্রা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড।