গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি, দৈনিক শিরোমণিঃ গাইবান্ধার জুতা ব্যবসায়ী হাসান আলী হত্যার প্রতিবাদে ৪ দফা দাবিতে সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে হাসান হত্যার প্রতিবাদ মঞ্চ। ২৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সপ্তাহব্যাপী কালো পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাচ ধারণ কর্মসূচি উদ্বোধনের পর শহরে বিক্ষোভ করে সচেতন নাগরিকগণ। বৃহ¯পতিবার বেলা ১১টার দিকে গাইবান্ধা নাট্য সংস্থা চত্ত¡রে কালো পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সপ্তাহব্যাপী কালো পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাচ ধারণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন হাসান হত্যার প্রতিবাদ মঞ্চের সমন্বয়ক আমিনুল ইসলাম গোলাপ। পরে জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এদিন শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পথসভা থেকে আগামী ২ মে স্থানীয় গানাসাস মার্কেটের সামনে প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অনুষ্ঠিত পথসভায় আরও বক্তব্য দেন ওয়াজিউর রহমান রাফেল, মিহির ঘোষ, গোলাম মারুফ মনা, এ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাবু, জিয়াউল হক জনি প্রমুখ। বিক্ষোভ ও পথসভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, চেম্বার অব কমার্স ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা ব্যবসায়ী হাসান হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতার, সদর থানার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহফুজার রহমানের অপসারণ, অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মজিবর রহমান ও এএসআই মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ, সুষ্ঠু বিচারের জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন এবং গাইবান্ধায় অবৈধ সুদ ও দাদন ব্যবসায়ীদের দৌরাতœ বন্ধসহ চার দফা দাবি তুলে ধরেন। উল্লেখ্য, সুদের টাকা পরিশোধ না করায় গত ৫ মার্চ জুতা ব্যবসায়ী হাসান আলীকে অপহরণ করেন গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত উপ দপ্তর স¤পাদক শহরের চিহ্নিত দাদন ব্যবসায়ী মাসুদ রানা। হাসানের স্ত্রীর অভিযোগ পেয়ে পুলিশ মাসুদের বাড়ি থেকে হাসানকে উদ্ধারের পর পরিবারের জিম্মায় না দিয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে অঙ্গিকারনামা লিখে নিয়ে আবার তাকে অপহরণকারী মাসুদের জিম্মায় দেয় পুলিশ। এরপর গত ১০ এপ্রিল মাসুদ রানার বাড়ির টয়লেট থেকে ব্যবসায়ী হাসান আলীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই দিনই মাসুদকে গ্রেফতার করে পুলিশ।