এস,এম শাহাদৎ হোসাইন গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় প্রভাবশালীদের নির্যাতমেৃত্যুর অভিযোগে রিক্সাচালক ছকু মিয়ার লাশ দাফনের ১৭ দিন পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। ২১ জুন সোমবার বিকালে সাদুল্লাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের পূর্ব দামোদরপুর গ্রাম থেকে লাশটি উত্তোলন করা হয়। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. লোকমান হোসেন ও সাদুল্লাপুর থানার পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সাদুল্লাপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা বলেন, আদালতের নির্দেশে গত ১৮ জুন শুক্রবার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার বিকালে ছকু মিয়ার লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়। লাশ উত্তোলনের পর বিকালেই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। গত ১৬ জুন নিহত ছকু মিয়ার ছেলে মোজাম্মেল হক গাইবান্ধার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শবনম মুস্তারীর আমলী আদালতে একটি পিটিশন মামলা করেন। আদালতের বিচারক আগামী ২৩ জুনের মধ্যে সাদুল্লাপুর থানাকে মামলা রেকর্ডভুক্ত করে মরদেহ উত্তোলনসহ প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে উপজেলার পূর্ব দামোদরপুর গ্রামের আলমগীর, আংগুর, রনজু, মনজু, সনজু ও মন্টু মিয়ার সাথে পারিবারিক ও দাদনের টাকা নিয়ে রিক্সাচালক ছকু মিয়ার বিরোধ চলে আসছিল। এছাড়াও ছকু মিয়ার ছেলের সাথে মন্টু মিয়ার মেয়ের প্রেম-ভালবাসার স¤র্পক নিয়ে পূণরায় তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। সেই বিরোধের জেরে তারা ৬ ভাই গত ১৫ মে রাতভর ছকুকে নির্যাতন করে। পরের দিন স্থানীয় এক সংবাদকর্মী বিষয়টি ৯৯৯ এ জানালে পুলিশ ছকুকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। মামলার বাদী ছকু মিয়ার ছেলে পোশাকর্মী মোজাম্মেল হক বলেন, এরপর স্থানীয়ভাবে এক শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে ছকু মিয়ার ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। শালিস বৈঠকের পর গত ৩১ মে ছকু মিয়া গ্রাম ছেড়ে গাজীপুরে তার বাসায় আশ্রয় নেন। গত ৩ জুন দুপুরে সেখানে তিনি মারা যান। পরেরদিন ৪ জুন তার লাশ দাফন করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ থানায় মামলা গ্রহণ না করায় আদালতে মামলা করা হয়। আইনজীবী এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, নির্যাতনের ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছকুর ধারণকৃত ভিডিও ডাইং ডিক্লারেশন হিসেবে আদালত জব্দ করেছেন। মামলার অভিযুক্ত আলমগীর হোসেন বলেন, ছকু মিয়ার ছেলে মোজাম্মেল তার অষ্টম শ্রেণি পড়–য়া ভাতিজিকে গত ১৫ মে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ বিষয়টি ছকু মিয়ার ভাইদেরকে অবহিত করা হলে তারা ছকু মিয়াকে শাসন করেন। স্থানীয়ভাবে এক শালিস বৈঠকের পর ছকু মিয়ার বড় ভাই মেয়েটিকে উদ্ধার করে তাদের নিকট ফিরিয়ে দেয়।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]