মাইদুল ইসলাম,জেলা প্রতিনিধি গাইবান্ধা:গাইবান্ধায় ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী মনিফা আক্তার অপহরণের ৯ দিন অতিবাহিত। থানায় অভিযোগ দায়ের। সন্ধান না মেলায় মায়ের বুক ফাঁটা আর্তনাদ আকাশ বাতাশকে ভারী করে তুলছে। গোটা পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। এমতাবস্থায় অপহরণকারীর লোকজন পাল্টা মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে মনিফা আক্তার অপহরণ ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহের অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে মর্মে ভুক্তভোগী অভিযোগকারী সালমা বেগমের দাবী।অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধা সদর উপজেলার মৌজা মালিবাড়ি কুমারের ভিটা গ্রামের সালমা বেগমের মেয়ে মনিফা আক্তার (১৩) স্থানীয় বালাআটা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী। মনিফা আক্তার বাড়িতে ঘোরাফেরা করার সময় ও স্কুলে যাতায়াতকালে বিভিন্ন সময় একই গ্রামের রিয়াজুল হকের পুত্র কামরুল হাসান (১৬) বিভিন্নভাবে কু-প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করে আসত। এমন ধরনের আচরণ থেকে বিরত থাকার জন্য কামরুল হাসান ও তার পিতা রিয়াজুল হককে বাঁধা নিষেধ করা সত্বেও কর্ণপাত করত না। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় একাধিকবার সালিশী বৈঠক হলেও সালিশী সীদ্ধান্ত অবমাননা করে কামরুল হাসান সুযোগ-সন্ধানী হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় গত ০৫-০৫-২০২২ ইং তারিখ সন্ধ্যে আনুমানিক সাড়ে ৬টায় বাড়িতে লোকজন না থাকার সুবাদে কামরুল হাসান পক্ষীয় লোকজনের সহায়তায় সালমা বেগমের বসতবাড়ির সামন থেকে মনিফা আক্তারকে মুখ চেপে জোরপূর্বক সিএনজি যোগে অপহরণ করে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। বিভিন্নখানে অনুসন্ধান করেও মনিফা আক্তারের সন্ধান না পাওয়ায় মা সালমা বেগম নিরুপায় হয়ে গতকাল কামরুল হাসানসহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সালমা বেগমের দাবী, মেয়ে মনিফা আক্তার অপহরণের ৯ দিন অতিবাহিত হচ্ছে। অদ্যাবধিও সন্দান না মেলায় গোটা পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মেয়ে মনিফা আক্তার কোথায় কী অবস্থায় আছে জানেন না।এমতাবস্থায় কামরুল হাসানের পিতা রিয়াজুল হক পুত্র কামরুল হাসানকে নিজ হেফাজতে রেখে অপহরণের অভিযোগ তুলে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ এলাকার লোকজনের সম্মুখে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করাসহ ঘটনার মোড় ভিন্নখাতে প্রবাহের অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। যা লজ্জাস্কর ও মানহানিকর। অসহায় সালমা বেগম মেয়ে মনিফা আক্তার অপহরণকারীদের দ্রুত গ্রেফতারসহ শাস্তির দাবী জানান।এ নিয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) ওয়াহেদুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]