গাইাবান্ধা-৫ আসনের উপ নির্বচনে তদন্ত প্রতিবেদন প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের বড় একটি অংশকে ভোট অনিয়মে সম্পৃক্ত হতে জেলা প্রশাসন বাধ্য করেছে। কমিটির কাছে লিখিত চিঠিতে প্রিজাইডিং অফিসাররা জানিয়েছেন, গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তার নির্দেশে একজন এডিসি এবং সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার ইউএনও মিলে প্রিজাইডিং অফিসারদের ‘ভোট সুষ্ঠু হয়েছে’ মর্মে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেন। বিশেষ করে সাঘাটা ইউএনও সরদার মোস্তফা শাহীন প্রিজাইডিং অফিসারদের সাদা কাগজে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেন বলে জানিয়েছেন প্রিজাইডিং অফিসাররা। এ বিষয়ে সাঘাটা ইউএনও সরদার মোস্তফা শাহীন ইত্তেফাককে বলেন, আমি কাউকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করিনি।চিঠিতে প্রিজাইডিং অফিসাররা ইসির কমিটির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। আবার অনেক প্রিজাইডিং অফিসার ঘটনার বিশদ বর্ণনা দিয়েছেন। কমিটির প্রতিবেদনে প্রিজাইডিং অফিসারদের চিঠিগুলো সংযুক্ত করা হয়েছে। প্রিজাইডিং অফিসাররা প্রত্যেকটা চিঠিতে সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. কামরুল ইসলামের নির্দেশনায় ভোটবন্ধের কথা উল্লেখ করেছেন। যদিও কামরুল ইসলাম শুধু সাঘাটার দায়িত্বে থাকলেও ফুলছড়ির বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসাররাও তার নাম সাদা কাগজের চিঠিতে উল্লেখ করেন। প্রত্যেকটি প্রিজাইডিং অফিসারের চিঠি ভাষা ছিল এক ও অভিন্ন। এ বিষয়ে নওগাঁ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম ইত্তেফাককে বলেন, কমিশনের নির্দেশে আমি সাঘাটার ৮৮টি কেন্দ্রের ভোট বন্ধ রাখার জন্য প্রিজাইডিং অফিসারদের নির্দেশনা দিয়েছিলাম। পরবর্তী সময়ে দেখা গেছে, সাঘাটা ও ফুলছড়ির ৯৬ জন প্রিজাইডিং অফিসার সাদা কাগজে স্বাক্ষর করে ভোট সুষ্ঠু হয়েছে বলে দাবি করেছেন। সাঘাটার স্থগিত ভোটকেন্দ্রের ২৬ জন প্রিজাইডিং অফিসার আমার কাছে ভোটের পরিবেশ না থাকায় ভোটবন্ধের কথা উল্লেখ করে চিঠি দেন।