গাছ থেকে পড়ে শরীরের অর্ধেক অংশে বাঁশ ডুকে মৃত্যুশয্যায়; বাঁচার আকুতি
মোঃ নিশাদ শেখ। বয়স মাত্র ২০। এইচএসসি পড়ুয়া তরুণ এক যুবক। সংসারে অভাব-অনটনের ভিতরেও লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে অনেক কষ্টে। পেটের তাগিদে মাঝে মাঝে নেমে পরে কাজে। দিনমজুর বাবা সাথে সেও কাজ করতো দিনমজুর হিসাবে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে নিজেদের ভিটা বাড়ি বলতে কিছু নেই হতভাগা নিশাদের।
নিশাদের বাড়ি ফরিদপুর জেলা নগরকান্দা উপজেলাধীন তালমা ইউনিয়নের বিননালিয়া গ্রামে। তার পিতার নাম মোঃ মজনু শেখ পেশায় দিনমজুর। অন্যের জমিতে চাষাবাদ করেন।
গত ৭ই ডিসেম্বর ২০২০ নারকেল গাছ থেকে পড়ে যায় পাশের পুকুরে। পুকুরে গারা বাঁশের উপর পরে নিশাদ। তাতে তার ডান সাইড দিয়ে বাঁশ ডুকে গলার পাশ দিয়ে বের হয়ে যায় বাঁশ। মারাত্মক জখম হয়ে নিশাদকে ভর্তি করা হয় ফরিদপুর মেডিকেলে। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে ওদিনেই তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়।
প্রথমে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া পর সেখানেও চিকিৎসা মেলেনি নিশাদে। পরে মহাখালীর বক্ষব্যাধি হসপিটালে ভর্তি করা হয় নিশাদকে। সেখানেও চিকিৎসা মেলেনি নিশাদের, পরে ইউনি হেলথ স্পেশালাইজড হসপিটালে ভর্তি করা হয় নিশাদকে।
বেশ কয়েকদিন রাজধানীর পান্থপথে ইউনি হেলথ স্পেশালাইজড হসপিটালে চিকিৎসা নেবার পর হসপিটালের খরচ বহন করতে ব্যর্থ হয় দিনমজুর নিশাদের হতভাগা বাবা। পরে নিশাকে আবার নিয়ে যায় ফরিদপুর, সেখানেই চলছে নিশাদের চিকিৎসা। যেখানে নুন আনতে পান্তা ফুরায়, সেখানে কিভাবে ঢাকা নিশাদের চিকিৎসা করবে।
এ-ব্যাপারে নিশাদের আত্মীয় মোঃ সোলাইমান বলেন, নিশাদের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। ভিটা বাড়িহীন নিশাদের বাবার কোন নিজস্ব টাকা পয়সা বা জমিজমা নেই। কিছু লোকের সহয়তায় নিশাদকে ঢাকায় আনা হয়েছিলো, কিন্তু টাকার অভাবে তার ঢাকায় চিকিৎসা করা সম্ভব হয়নি। নিশাদকে আবার ফরিদপুর নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সরজমিনে নিশাদের বাবা সাথে কথা বললে তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন আমার ছেলেকে আপনারা বাঁচান। আমার নিশাদ বাঁচতে চায়। আমি এমনই হতভাগা বাপ যে নিজের চোখের সামনে ছেলের এই অবস্থা দেখে কিছুই করতে পারাচ্ছিনা। আমার কোন সইসম্পতি ও নেই, যেটা বিক্রি করে নিশাদকে চিকিৎসা করাবো। পরে কাঁদতে কাঁদতে তিনি আর কথা বলতে পারেনি।
পরে নিশাদ বাবা বলেন, আমরা নিশাদকে নিয়ে আবার ২০শে ডিসেম্বর ইউনি হেলথ স্পেশালাইজড হসপিটালে আবার ভর্তি করি। ওখানে নিশাদের অপারেশন হয়। নিশাদের বাবা বলেন, আপনার যদি আমার ছেলের জন্য একটু সহযোগিতা হাত বাড়ান তাহলে হয়তো আমার নিশাদ বেঁচে যেতে পারে। তিনি আরো বলেন আমি চায়না আমার সন্তানের লাশ আমি কাঁধে নিই। আপনারা আমার নিশাদকে বাঁচান।
যোগাযোগ-
নিশাদের বাবা
মোঃ মজনু শেখ
মোবাইল-01743497059
বর্তমানে পান্থপথে ইউনি হেলথ স্পেশালাইজড হসপিটালে। রুম নম্বর ৪০৯
(পুরাতন গ্যাস্ট্রো লিভার হসপিটাল)
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]