শিরোমণি ডেস্ক রিপোর্ট: গাজীপুরে পুলিশের গুলিতে পোশাক শ্রমিক আন্জুয়ারা বেগম কে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ ২৫ হাজার টাকা মজুরি ঘোষণা করো- ৫ দলীয় বাম জোট।
আজ ৮ নভেম্বর ২০২৩ এক বিবৃতিতে ৫ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)র সভাপতি কমরেড এম এ সামাদ গাজীপুরে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলন দমনে পুলিশের বর্বরোচিত হামলা, নির্বিচারে গুলি ও বেপরোয়া লাঠিচার্জে শ্রমিক হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। উল্লেখ্য যে, আজ সকালে গাজীপুরে পুলিশের বর্বরোচিত হামলা ও গুলিতে এক’জন নারী শ্রমিক নিহত হয়।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, কিছুদিন ধরে গাজীপুর, সাভার, আশুলিয়া সহ বিভিন্ন অঞ্চলের গার্মেন্টস শ্রমিকরা দ্রব্যমূল্যের সাথে সঙ্গতি রেখে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আসছেন। বর্তমানে গার্মেন্টসের শ্রমিকরা মাসিক যে মজুরি পান তা দিয়ে একটি সংসারের থাকা খাওয়াও সম্ভব নয়। তার উপর খাদ্যসহ নিত্যপন্যের আকাশচুম্বী দামের কারণে শ্রমিকসহ নিম্নআয়ের মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা। তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। অথচ সরকার সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে বাঁচার মত নুন্যতম মজুরি নির্ধারণে বাস্তব সম্মত উদ্যগ না নিয়ে গতকাল ১২৫০০ টাকা মজুরি নির্ধারন করে ঘোষণা দিয়েছেন সরকার যা গ্রহনযোগ্য নয় এর প্রতিবাদে এবং ২৫ হাজার টাকা বেতনের দাবিতে আজ সকালে গাজীপুরে প্রতিবাদ সমাবেশ করছিলো, মালিকের স্বার্থে শ্রমিক আন্দোলন দমনে নিষ্ঠুরভাবে মাঠে নেমেছে পুলিশ শান্তি পূর্ণ সমাবেশে হামলা টিয়ারগ্যাস ও গুলি করে এতে একজন নারী পোষাক শ্রমিক নিহত ও অসংখ্য শ্রমিক আহত হয়েছে গত সপ্তাহেও রাসেল হাওলাদার ও ইমরান নামের দুজন শ্রমিককে পুলিশ গুলি করে হত্যা ও অসংখ্য শ্রমিককে আহত করেছে। ইতিমধ্যে অনেক কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে। সরকার মজুরি বোর্ড গঠন করলেও শ্রমিকদের স্বার্থে তাদের কোন ভূমিকা নেই। সম্প্রতি মালিক পক্ষ ১২,৫০০/- টাকা মজুরির ঘোষনা করেছে যা কোনভাবেই বাস্তব সম্মত নয়।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, সরকারের উচিত অবিলম্বে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যায়সঙ্গত ২৫,০০০/- টাকা মজুরি মেনে নেওয়া। এটা শ্রমিক ও শিল্পের জন্যও মঙ্গলজনক। তিনি বলেন, শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন পুলিশ দিয়ে দমন-পীড়ন করে বন্ধ করা যাবে না।
বিবৃতিতে তিনি শ্রমিক হত্যার বিচার ও নিহত শ্রমিকদের প্রত্যেক পরিবারকে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ, আহত শ্রমিকদের সুচিকিৎসা এবং শ্রমিক নির্যাতন বন্ধের দাবি জানান।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করের ৫ দলীয় বাম জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)র সাধারণ সম্পাদক কমরেড এম এ সামাদ বাংলাদেশের সোশ্যালিস্ট পার্টির সভাপতি কমরেড শাহীন আহমেদ , বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (মার্কসবাদী)র সভাপতি কমরেড বিধান দাস বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি( মাওবাদী),সভাপতি কমরেড আলমগীর হোসেন বাংলাদেশের সমতা পার্টির সভাপতি কমরেড রমজান আলী।