শিশুটি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার রেখা আক্তারের ছেলে। সে তার ছেলেকে নিয়ে ওই এলাকায় ভাড়া থাকে। শিশুকে কিনে নেওয়া সাদ্দাম হোসেন নড়াইলের নরাগাতী উপজেলার কামশিয়া গ্রামের খলীলুর রহমানের ছেলে। সে আবদার এলাকায় ভাড়া থেকে স্থানীয় বিবিএস ক্যাবল কারখানায় টেকনেশিয়ান পদে চাকরি করেন।
শিশুর মা রেখা আক্তার বলেন, প্রায় ৫ বছর আগে শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের আবদার (ঢালীপাড়া) গ্রামের হারেজ মিয়ার ছেলে তুহিনকে পরিবারের অমতে ভালবেসে বিয়ে করে সে। তুহিনের বাড়ীতে আগের বউ থাকায় সে (তুহিন) তাকে বিয়ের পর তার বাড়েিত উঠায়নি। একই এলাকার এক বাড়িতে তুহিন তাকে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতে দেয়। পেটে বাচ্চা রেখে গোপনে গত ৬/৭ মাস আগে তুহিন সৌদি চলে যায়। সৌদি যাওয়ার পর থেকে তার সাথে সকল প্রকার যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় তুহিন। বিয়ের পর এটাই তাদের প্রথম সন্তান। সন্তান হওয়ার পর বিয়ের ডকুমেন্ট (কাবিননামা) না থাকায় তুহিন তার ছেলেকে অস্বীকার করে।
তিনি আরো জানান, তুহিনের ঘরে আগের বউ থাকায় তার বাবা হারেজ মিয়া আমাকে বাড়িতে উঠতে দেয়নি।
শিশুকে কিনে নেওয়া সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমার দশ বছরের সংসার জীবনে আমি নি:সন্তান। কোন সন্তানাদি না হওয়ায় লালন-পালনের জন্য কিনে নেই। শিশুর মায়ের কোনো পরিচয়পত্র না থাকায় এলাকার স্থানীয় কয়েকজন স্বাক্ষীর উপস্থিতিতে স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ছেলে শিশু সন্তানকে ৪২ হাজার টাকায় কিনে নিয়েছিলাম। পরে পুলিশের নির্দেশেই শিশুটিকে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেই এবং ওই টাকা ফেরত দিয়ে দেয় আমাকে।
শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু রায়হান জানান, স্থানীয় এক সংবাদ কর্মীর মাধ্যেমে জানতে পারেন অভাবের তাড়নায় এক মা তার দেড় মাস বয়সী শিশু ছেলেকে বিক্রি করে দিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে টাকা ফেরত দিয়ে শিশু ছেলেকে তার মা’য়ের কোলে তুলে দেই।