নিহত নিরাপত্তা প্রহরী হেলাল উদ্দিন (৫৮) কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার দক্ষিনচর হাজীপুর গ্রামের মৃত রবি মিয়ার ছেলে। সে দীর্ঘদিন যাবত পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডে (বেপারি বাড়ী) এলাকায় নিজ বাড়ীতে থেকে ম্যাক্স-৪ সিকিউরিটি সার্ভিসের অধীনে ওই দোকানে চাকরি করতো।
আল-আমিন পোল্ট্রি ফীডের মালিক আহমেদ ইয়াদরীব জানান, শনিবার (২৮ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় দোকানে তালা লাগিয়ে চলে যান। রবিবার (২৯ জানুয়ারী) সকাল ৮টায় দোকানের ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) জালাল উদ্দিন দোকান খুলতে আসেন। পরে দোকানের তালা কাটা দেখে তাকে (মালিককে) ফোন দেয়। খবর পেয়ে দোকানে এসে ভিতরে ঢুকে দেখেন ডাকাতেরা সিন্দুকসহ তাতে থাকা নগদ ৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকা, স্বাক্ষর সম্বলিত এক লাখ টাকার চেক, গুরুত্বপূর্ণ দলিল ও কাগজপত্র নিয়ে যায়। এনআরবিসি, ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংককের চেকসহ গুরুত্বপূর্ণ দলিল ও কাগজপত্র লুটে নেয়। নিরাপত্তা প্রহরী হেলাল উদ্দিন ওই দোকানে প্রায় দুই মাস যাবত চাকরি করে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তাছাড়া নিরাপত্তা প্রহরীর লাশ উদ্ধারের ঘটনাস্থল পাশের জয়দেবপুর থানাধীন হোতাপাড়া (বেগমপুর) এলাকাও পরিদর্শন করা হয়েছে।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহতাব উদ্দিন জানান, সকাল সাড়ে ৮টায় অজ্ঞাত ব্যাক্তির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ১০ হাত পূর্ব পাশে স্থানীয় এসবিএল পোশাক কারখানার সামনে ভাঙ্গারী মালামালের ওপর পড়ে থাকা অবস্থায় হেলাল উদ্দিনের লাশ উদ্ধার করে। পরে অনুসন্ধান করে লাশের পরিচয় নিশ্চিত হয় পুলিশ। সে শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় আল-আমিন পোল্ট্রি ফীড দোকানে নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে চাকরি করতো। তবে লাশের শরীরের কোথাও কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে দুর্বৃত্তরা তাকে অন্যা কোথাও হত্যা করে চলন্ত গাড়ী থেকে ওই স্থানে লাশ ফেলে গেছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।