রাজারহাট কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি ঃরাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়নের তরুণী কে লালমনিরহাট সদর উপজেলার তিস্তা সেতু দেখতে ডেকে নিয়ে কৌশলে টোলপ্লাজা এলাকায় এক তরুণীকে রিপনের গুদামঘরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দুই জনকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ পালিয়ে যায় গুদামঘর মালিক রিপন। বৃহস্পতিবার(১৪ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের পূর্বদালালপাড়া তিস্তা টোলপ্লাজা আফজালনগর এলাকায় রিপনের গুদাম ঘরে এই ঘটনা ঘটে।আটকরা হলো- কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙা ইউনিয়নের পশ্চিম দেবোত্তর এলাকার ত্রিপদ রায়ের ছেলে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী নির্মল চন্দ্র রায় (২৮) ও লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের পূর্ব দালালপাড়া তিস্তা টোলপ্লাজা আফজালনগর এলাকার ট্রাক্টর চালক তৈয়ব আলীর ছেলে আতিকুল ইসলাম(২৫) আটক হলেও পালিয়ে যায় গুদাঘর মালিক রিপন।পুলিশ, দুই অভিযুক্ত ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, নির্মল চন্দ্র রায় তিস্তা ব্রিজ দেখানোর কথা বলে প্রতিবেশী ওই তরুণীকে মোবাইলে ফোনে কল করে ডেকে আনে। তারপর ধর্ষণ করে।বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) বিকালে এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন লালমনিরহাট সদর থানার ওসি শাহা আলম।ওসি শাহা আলম জানান, লালমনিরহাট তিস্তা টোলপ্লাজা পুলিশ চেকপোস্টে দায়িত্বরত এসআই নুর আলমকে কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম দেবোত্তর এলাকার এক তরুণী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হওয়ার কথা জানালে তাৎক্ষণিক ওই পুলিশ অফিসার দুই ধর্ষককে আটক করে এবং ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিস্তা টোলপ্লাজা আফজালনগর এলাকার সেকেন্দার আলীর ছেলে রিপন (৩৫) নামে এক যুবকের গোডাউনে ওই তরুণীকে ডেকে নিয়ে গিয়ে র্ধষণ করে নির্মল ও তার বন্ধু আতিকুল। এসময় ওই গোডাউন ঘরের মালিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল বলে জানা গেছে।স্থানীরা আরো জানান রিপন মিয়া তিস্তা এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও লাইনম্যান।সে দীর্ঘদিন যাবৎ চায়না বাজারে ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেনের ব্যবসায়ী গুদামঘরে আসতো।এবং পাশেই ভিত্তিমের বাড়ী সম্পর্কে জানতো আর গুদামঘরের পাশেই নির্মলের দোকান। অবৈধ কারবার করে সে গেলো ৫ বছরে শ্রমিক থেকে কোটিপতি হয়ে গেছে।তিস্তা সেতু দিয়ে মাদকের বড় বড় চালান পাচারের মাধ্যমেই রিপন হয়ে ওঠে কাচাঁ টাকার মালিক।অভিযোগ রয়েছে অসাধু পুলিশ কর্মকর্তার সাথেও রয়েছে ব্যপক সখ্যতা।
লালমনিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) মারুফা জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, 'আমি ভিকটিমের সঙ্গে কথা বলেছি। তার কথাগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। এছাড়া স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]