ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮- এর ধারা ১৫-তে দেওয়া ক্ষমতাবলে ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো হিসেবে ঘোষণা করার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এ বিষয়ে বলেন, কোনো রাষ্ট্রীয় নীতি সমর্থিত না হওয়ার পরও এ তালিকা প্রকাশ বেশকিছু মৌলিক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। এ তালিকা প্রশ্নবিদ্ধ ও বিভ্রান্তিকর। এর মাধ্যমে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আমূল সংস্কারের দাবির যৌক্তিকতা আরও একবার প্রমাণিত হয়েছে।২ অক্টোবর প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো হিসেবে ২৯টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ‘কোনো কম্পিউটার সিস্টেম, নেটওয়ার্ক বা তথ্য পরিকাঠামোকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো হিসেবে ঘোষণা’ করার ক্ষমতা সরকারের ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে। অথচ সম্প্রতি প্রকাশিত গেজেটে ২৯টি প্রতিষ্ঠানকেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো বলা হচ্ছে। এ ছাড়া কোন বিবেচনায় এ তালিকা করা হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। যেমন জাতীয় নিরাপত্তার কথা বলা হলেও, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সশস্ত্রবাহিনী এ তালিকার বাইরে রয়ে গেছে।
তিনি বলেন, একইভাবে বাদ পড়েছে জাতীয় সংসদ, বিচার বিভাগ, অডিট বিভাগ, স্বাস্থ্যখাত, কাস্টমস ও বন্দর কর্তৃপক্ষ ইত্যাদি। চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ছাড়া বাকি কোনো ব্যাংকই এ তালিকায় স্থান পায়নি। আরও অসংখ্য উদাহরণ দেওয়া যায়। কিন্তু এ কয়টি থেকেই নিশ্চিত করে বলা যায় যে, তালিকাটি প্রশ্নবিদ্ধ ও অবিবেচনাপ্রসূত। তা না হলে ধরে নিতে হবে, নির্ধারিত এই কয়টি প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাকি সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান নিরাপত্তার বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ নয়।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]