টাংগাইলের গোপালপুরের দক্ষিন পাথালিয়া থেকে গরু চুরির অভিযোগে বনমালী রাঘববাড়ী গ্রামের মৃত মতিয়ার রহমানের ছেলে মো: লুৎফর রহমান (৪২)কে হাতেনাতে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনগণ।
এলাকাবাসী জানায়, বুধবার দিবাগত রাতে গরু চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময়, মজিদপুর এলাকায় আসলে স্হানীয় লোকজনের সন্দেহ হলে, তারা লূৎফরকে গরু সহ আটক করে পুলিশকে খবর দেয়, এলাকাবাসীর উপস্থিতি টের পেয়ে লুৎফর রহমানের অপর দুই সহযোগী পালিয়ে যায়। পুলিশের মৌখিক জিজ্ঞাসাবাদে গরু চুরির কথা স্বীকার করে লুৎফর রহমান, তারসাথে থাকা দুই সহযোগী দক্ষিন পাথালিয়া গ্রামের আব্দুল মজিদ ওরফে গেন্দার ছেলে মো: আবুল কালাম ( ৪০) ও একই গ্রামের লালুর ছেলে ফিরোজ ( ৩৫ ) বলে জানায় ।
দক্ষিণ পাথালিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে রনি আহমেদ হীরা (৩৫) জানান, প্রতিদিনের মতো সন্ধ্যায় লাল রঙ্গের গাভীটি গোয়ালে বেঁধে দরজা আটকে ঘুমাতে যাই, সেহরি খেতে উঠে গোয়ালের কাছে গেলে দরজা খোলা দেখে ভিতরে যেয়ে দেখি গরুটি নেই, এসময় চিল্লাচিল্লি শুনে এলাকাবাসী এগিয়ে আসে , পাশের গ্রাম মজিদপুরের লোকজন গরু সহ চোরকে আটক করে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এই লুৎফর রহমানের নামে মাদক, চুরি, ডাকাতির অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।
এলাকাবাসীর দাবি, সে চিহ্নিত ও ধারাবাহিক অপরাধী। কিছুদিন আগেই পুলিশ পুরনো মামলায় আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়, সম্প্রতি সেসব মামলায় জামিনে বেরিয়ে এসে আবারো পুরনো পেশায় যুক্ত হয় লুৎফর রহমান। এলাকায় অপরাধ ও চুরি বেড়ে যাওয়ায় চরচতিলা বাজারে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভায়, লুৎফর রহমান চিহ্নিত চোর দাবি করে, তাকে গ্রেফতার করতে ওসি মোশারফ হোসেনের কাছে মৌখিক দাবিও জানিয়েছিলো এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোশারফ হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এই লুৎফর রহমান একজন কুখ্যাত গরু চোর, তার নামে আগের ১১টি মামলা রয়েছে, এই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে ও পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে ।