1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : বরিশাল ব্যুরো প্রধান : বরিশাল ব্যুরো প্রধান
  3. [email protected] : cmlbru :
  4. [email protected] : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান
  5. [email protected] : ঢাকা ব্যুরো প্রধান : ঢাকা ব্যুরো প্রধান
  6. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টারঃ : স্টাফ রিপোর্টারঃ
  7. [email protected] : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান
  8. [email protected] : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান
  9. [email protected] : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান
  10. [email protected] : আমজাদ হোসেন রাজশাহী ব্যুরো প্রধান : রাজশাহী ব্যুরো প্রধান
  11. [email protected] : রংপুর ব্যুরো প্রধান : রংপুর ব্যুরো প্রধান
  12. [email protected] : রুবেল আহমেদ : রুবেল আহমেদ
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন

গোপালপুরের অভিযুক্ত দুই যুদ্ধাপরাধী গ্রেফতার, ফাঁসির দাবিতে মিছিল

রিপোর্টার
  • আপডেট : শুক্রবার, ৪ মার্চ, ২০২২

একাত্তরে বুদ্ধিজীবি হত্যা এবং গণহত্যার অভিযোগে আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইবুনাল গতকাল বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার অভিযুক্ত দুই যুদ্ধাপরাধীকে গ্রেফতার করেছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন উপজেলার ঝাওয়াইল ইউনিয়নের বেড়াডাকুরি গ্রামের মৃত সবুর মাস্টারের পুত্র মনিরুজ্জামান কোহিনূর এবং চাতুটিয়া গ্রামের মৃত শফি উদ্দীনের পুত্র আলমগীর হোসেন তালুকদার।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের উপপরিচালক এবং তদন্তকারি কর্মকর্তা মতিউর রহমান খবরটি নিশ্চিত করেন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ওই দুইজন ১৯৭১ সালে পাকস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগী এবং রাজাকার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ৩০ জুন রাজাকার মনিরুজ্জামান কোহিনূর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে ঝাওয়াইল বাজারে হামলা চালায়।এ সময় ঝাওয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্পাদক, সুরেন্দ্রবালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বিশিষ্ট লেখক মসলিম উদ্দীনকে আটক করে গোপালপুর ক্যাম্পে নিয়ে আসেন। সেখানে তাকে টানা এক সপ্তাহ অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। তারপর তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে লাশ গুম করা হয়। আজও তার পরিবার লাশের সন্ধান পায়নি। ১৯৯৭ সালে শেখ হাসিনা সরকার শহীদ মসলিম উদ্দীনকে বুদ্ধিজীবী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে তার নামে স্মারক ডাকটিকেট প্রকাশ করেন।

 

এদিকে ১৯৭১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর রাজাকার মনিরুজ্জামান কোহিনূর ও আলমগীর হোসেন তালুকদার একদল রাজাকার ও আলবদরকে সঙ্গে নিয়ে মাহমুদপুর গ্রামে হামলা চালায়। বর্বর হানাদার বাহিনী আওয়ামী লীগের এমএনএ হাতেম আলী তালুকদারের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। তারা শতাধিক বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়ার পর ১৭ জনকে হত্যা করে।

 

মামলায় আরও বলা হয়, একাত্তরের ১১ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল হানাদার মুক্ত হওয়ার আগের দিন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে তারা ঢাকায় আসেন। ১৬ ডিসেম্বর রেসকোর্স ময়দানে ৯৩ হাজার পাকিস্তানি খান সেনার সঙ্গে মনিরুজ্জামান কোহিনূর মিত্র ও মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে।

পরে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে ভারতের জব্বলপুর কারাগারে বন্দি ছিলেন। এরপর শিমলা চুক্তি অনুযায়ী মুক্তি পেয়ে তিনি পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে পাকিস্তান চলে যান। পাকিস্তানি নাগরিক হিসেবে নব্বইয়ের দশকে জাপান যান। ২০০২ সালে তিনি দেশে ফেরেন।

অপরদিকে রাজাকার আলমগীর হোসেন তালুকদার ৭৬ সালে সেনাবাহিনীতে সৈনিক হিসে‌বে যোগ দেন। পরে পৌরশহরের সূতি দাখিল মাদরাসার অধ্যক্ষ হিসেবে গত নভেম্বরে অবসরে যান।

গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন বলেন, ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানাপত্র মোতাবেক মনিরুজ্জামান কোহিনুরকে ঢাকার এলিফ্যান্ট রোড়ের বাসা থেকে এবং আলমগীর হোসেনকে গোপালপুর পৌরশহরের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের উপপরিচালক মতিউর রহমান বলেন, মনিরুজ্জামানকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়। আর আলমগীর হোসেনকে সাভার পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাকে আগামী রোববার ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে।

তিনি আরও বলেন, এগুলো ১৯৭১ সা‌লের মু‌ক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ঘটনা। যখন ট্রাইব্যুনা‌লের নজ‌রে আসে তখন সে‌টি আমলে নিয়ে কাজ শুরু করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়গুলো তদন্ত করে দেখা হয়। ঘটনা সত্য হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তারপরও অভিযোগগুলো নিয়ে তদন্ত হচ্ছে।

 

 

 

 

 

 

এদিকে এই দুই অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধীকে গ্রেফতারের খবরে সর্বত্র স্বস্তির নিশ্বাস ফিরে আসে। গতকাল সন্ধ্যার পর ফাঁসির দাবিতে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে গোপালপুর পৌরশহরে এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিল শেষে থানা ব্রীজ চত্বরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

Facebook Comments
৮১৩ views

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২২ দৈনিক শিরোমনি