টাঙ্গাইলের গোপালপুরের পৌর শহরের নন্দনপুর বাজার এলাকায় একটি বাসায় বোমাসদৃশ বস্তু রেখে, চিঠি দিয়ে একলাখ টাকা চাঁদা দাবি করে দুর্বৃত্তরা।
খবর পেয়ে বুধবার (২৪ নভেম্বর) দিনভর পুলিশ সদস্যরা বাসাটি ঘিরে রাখে। বিকালে ঢাকা থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় চার সদস্যের বোমা ডিসপোজাল দল।
বোমা সাদৃশ্য বস্তুর কথা ছড়িয়ে পরলে এলাকায় আতংকের সৃষ্টি হয়, বোমা ডিসপোজাল দলের সদস্যরা সেখানে তল্লাশি চালিয়ে বোমা না পেলেও, বোমা সাদৃশ্য বস্তুর ভেতরে পেয়েছেন চারটি পানির পাইপ, পাটশোলা, চারটি পেনসিল ব্যাটারি, দেড় হাত লম্বা তার ও পুরাতন মোবাইলের ডিসপ্লে।
গোপালপুর থানার ওসি (তদন্ত) মামুন ভূঁইয়া বলেন, ‘কাউন্টার টেরোরিজমের বোমা ডিসপোজাল ইউনিটের এসআই গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বে একটি দল আসে ঢাকা থেকে। পরে তারা বিকাল ৫টার দিকে অভিযান সমাপ্ত করে। সেখানে বোমাসদৃশ কিছু পাওয়া পায়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, এলাকার মাদকসেবীরা বোমাসদৃশ বস্তুটি রেখে ভয় দেখানোর জন্য এমন কাজ করতে পারে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। যাতে আর কেউ এমন ঘটনা ঘটাতে না পারে, এ জন্য আমরা দুষ্কৃতিকারীদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।’
পৌর এলাকার নন্দনপুর বাজার সংলগ্ন আব্দুর রাজ্জাক মিয়া লিটু ও তার চাচাতো বোন স্কুল শিক্ষক ঝর্ণা বেগম মিলে ভবনটি নির্মাণ করছেন। ভবনের পাশেই একটি টিনের ঘর নির্মাণ করে ঝর্ণা বেগম তার মা রেহেনা পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। সকালের দিকে রেহেনা বাড়ীর গেইটের কাছে দুটি চিঠি দেখতে পান। চিঠিতে লেখা ছিল, তার ছেলে বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন। এ কারণে তাদের কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা ধার্য করা হয়েছে। টাকা না দিলে এবং বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করলে টাইম বোমাটি রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ও বাসার মালিকের ছেলেকে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।
চিঠিতে আরও জানানো হয়, রেখে যাওয়া বোমা দিয়ে দুটি বাস ধ্বংস করার ক্ষমতা রয়েছে। নির্দিষ্ট জায়গায় টাকা দিয়ে না এলে রাত ১২টার পর রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে বোমাটি বিস্ফোরণ করা হবে। বিষয়টি জানার পর থেকে বাসাটি ঘিরে রাখে পুলিশ।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]